উচ্চ কর ও শুল্ক আরোপ
দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পায়তারার প্রতিবাদ
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:২২ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৫
ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এমন এক উচ্চ কর নীতি আরোপ করার অশুভ পাঁয়তারা করছে, যা দেশের বিদ্যমান সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলবে। এই বাড়তি কর আরোপ জনগণের জীবনযাত্রা শুধু কঠিন করবে না, বরং এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনে নিজ কার্যালয়ে গণঅধিকার পারিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা কর আরোপের কিছু তুলনামূলক তথ্য উপস্থাপন করেন।
১। বিবিধ শিশু খাদ্যে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
২। বিস্কুট, রেস্তোরার খাবার ও চশমায় কর ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
৩। সার্কভুক্ত দেশসমূহে ৫০০ টাকার ভ্রমণ কর বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এভাবে অন্যান্য দেশেও এটা বেড়েছে, যা দেশের বাইরে যাওয়ার খরচ বাড়িয়ে তুলবে। ৪। আম, কলা, লেবু বিভিন্ম ফলমূলে কর ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।
কর ও শুল্ক প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তাব-
– সংকট মোকাবিলায় জনগণের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে জনবান্ধব এবং গ্রহণযোগ্য কর নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
– নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা খাতে আরোপিত উচ্চ কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
– কর আদায়ে ব্যাপক দূর্নীতির কথা বহুল প্রচারিত একটি খবর, যথাযথভাবে আদায়ে কর আদায়ে সংশ্লিষ্টদের দূর্নীতির প্রমাণ পেলে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
– যে সকল পণ্য দেশে উৎপাদিত হয় তা আমদানিতে উচ্চ কর আরোপ অথবা আমদানি সীমিত করা সম্ভব হলে আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়াম-মশিউজ্জামান (আহ্বায়ক গণঅধিকার পরিষদ) এছাড়াও বক্তব্য রেখেছেন তারেক রহমান (যুগ্ম সদস্য সচিব গণঅধিকার পরিষদ) আরও উপস্থিত ছিলেন আরিফ বিল্লাহ (কেন্দ্রীয় দফতর সমন্বয়ক গণঅধিকার), ফয়সাল আহমেদ রূপক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক, সোহাগ আফ্রিদি, শহিদুল হক মিন্টুসহ আরও অনেকে।
সারাবাংলা/ইউজে/এমপি