সবুজ রুপান্তর এজেন্ডা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে সিপিডি ও ডেনমার্ক
১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৫
ঢাকা: সবুজ রূপান্তর ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সংস্কার এজেন্ডা ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর সঙ্গে ডেনমার্ক সরকারের একটি চুক্তি সই হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গবেষণা, সংলাপ ও নীতি সমর্থনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংস্কার ও সবুজ রূপান্তর এজেন্ডার উপর জোর দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশের ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন চার বছরের জন্য এই চুক্তিতে সই করেন। সিপিডির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডেনিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘এখন সময় এসেছে প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ, সুশাসন এবং বাংলাদেশের সকল প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমকে স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক করে তোলার জন্য কাজ করার। সিপিডি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের রূপান্তর প্রক্রিয়াকে সহজতর করার জন্য সরকারকে বিভিন্ন নীতি পরামর্শ দিয়ে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি এই কার্যক্রম নীতিনির্ধারকদের জন্য অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন এবং মধ্যমআয়ের ফাঁদের চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠার সম্ভাব্য উপায়গুলি নিয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবে।’
ব্রিক্স আরো বলেন, আমরা উচ্চ উৎপাদনশীলতা, আয়ের বহুমুখীকরণ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে প্রবেশ এবং ব্যবসা করার সহজতা সহ বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে বাংলাদেশের শক্তিশালী উপস্থিতি চাই। আমরা আশা করি নীতি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিপিডি এ বিষয়গুলোতে সঠিক অবদান রাখতে পারবে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সিপিডিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালীকরণে ডেনমার্কের এই সমর্থনের জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ২০১৯ সালেও ডেনমার্ক সিপিডির প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় অবদান রেখেছিল। ডেনিশ সরকার ধারাবাহিকভাবে আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। এটি একটি সময়োপযোগী কার্যক্রম কারণ আমরা একটি রূপান্তরকালীন সময় পার করছি এবং দেশের জন্য কাঠামোগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের আশা করছি। আমরা মনে করি আমাদের এই কার্যক্রম চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক হবে।’
নতুন এই কার্যক্রমটি বিভিন্ন অংশীজন, নীতি নির্ধারক, ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল অংশীজনদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে