দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, বিদ্রোহের অভিযোগে তদন্তাধীন ইউন দেশের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একটি ভিডিও বার্তায় গ্রেফতার ইউন বলেন, ‘যদিও এটি একটি অবৈধ তদন্ত, আমি তদন্ত অফিসের সামনে হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে কোনো প্রকার রক্তপাত রোধ করা যায়। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের তদন্তে অনুমোদন দিচ্ছি।’
ভিডিওটিতে তিনি আরও বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। এটি অন্ধকারময় দিন। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করি ও শক্ত থাকুন।’
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন, তারা ইউনের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করেছেন।
ইউনের আইনজীবী সিওক ডং-হিউন ফেসবুকে একটি পোস্টে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করার জন্য তার বাসভবন ছেড়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করতে সম্মত হয়েছেন। তিনিও তদন্তকে অবৈধ বলেও বর্ণনা করেছেন।’
গত ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এর জেরে বিক্ষোভের মুখে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন ইউন।প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে এরপর ইউনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।