Wednesday 15 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা’র সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:১৬ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:০৮

অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের এমন সুপারিশ করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

আরও পড়ুন-স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ভোটারের স্বাক্ষর ৫০০ করার সুপারিশ

৯ পাতার সুপারিশমালার একেবারে শেষ ৯ নম্বর পাতায় ১৬ নম্বর পয়েন্টে সংসদ নির্বাচনে ‘অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা’র বিষয়ে লিখা রয়েছে:

(ক) রিপোর্টে প্রস্তাবিত অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হবে ব্লকচেইন, সিকিউরিটি, ক্রিপ্টোগ্রাফি, প্রাইভেসি-বর্ধনকারী (privacy-enhancing) প্রযুক্তি এবং অনলাইন ভোটিংয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্রযুক্তিগত টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠা করা। এই টাস্কফোর্সে নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সরকারি মন্ত্রণালয় এবং সংস্থার প্রাসঙ্গিক ডোমেইন বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা।

(খ) গঠিত এই টাস্কফোর্সের প্রথম দায়িত্ব হবে সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্টের আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি অনলাইন ভোটিং সিস্টেমের আর্কিটেকচার ও প্রোটোকল ডিজাইন এবং সিস্টেমটির ডেভেলপমেন্ট তত্ত্বাবধান করা।

(গ) সিস্টেমটি তৈরি হয়ে গেলে এর কার্যকারিতা (Functionalities), নিরাপত্তা (Security) এবং ব্যবহারযোগ্যতা (Usability) নিশ্চিত করার জন্য এটিকে যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

(ঘ) পরবর্তীতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক বা একাধিক সিকিউরিটি অডিট ফার্ম দ্বারা সিস্টেমটির ক্রমাগত নিরাপত্তা অডিট (Security Audit) করা। ডেভেলপকৃত সিস্টেমের ওপরে আস্থা স্থাপনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

বিজ্ঞাপন

(ঙ) ডেভেলপকৃত সিস্টেমে আস্থা স্থাপনের আরেকটি প্রচলিত পদ্ধতি হলো এর কোডবেসটি প্রকাশ করা, যাতে বিশ্বের যে কেউ এর কোডবেস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে। আরেকটি পরিপূরক পদ্ধতি হলো পাবলিক পেনেট্রেশন টেস্টিং এবং বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম চালু করা, যা সিস্টেমের গুরুতর সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসির দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে।

(চ) একটি সিকিউর অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করতে হলে দেশের আইনি কাঠামোতে সংশোধন করার প্রয়োজন হবে। টাস্কফোর্সের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হবে দেশের বিভিন্ন আইনি কাঠামো বিশ্লেষণ করে কোন কোন জায়গায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা দরকার তা প্রস্তাব করা।

(ছ) জনগণের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে জনগণকে ক্রমাগতভাবে অনলাইন ভোটিং সিস্টেমটি ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে তাঁদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জনের ব্যবস্থা করা। এই লক্ষ্যে প্রথমে ছোট পরিসরের কোনো ভোটিংয়ে এই সিস্টেমটির ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা, যাতে ধীরে ধীরে সিস্টেমটির প্রতি জনগণের আস্থা গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে এই ট্রায়ালগুলোর সাফল্যের অভিজ্ঞতা ব্যাপক আকারে ব্যবহারের আদর্শ উদ্দীপক (ideal catalyst) হিসেবে কাজ করতে পারে।

(জ) এরূপ একটি সিস্টেম ডিজাইন করার সময় আমাদের অবশ্যই সেসব ভোটারদের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত যাঁদের স্মার্টফোন নেই । এই গোষ্ঠীর ভোটারদের জন্য আমাদের একটি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে তাঁরা বিকল্প পদ্ধতিতে অনলাইনে ভোট দিতে পারেন।

সারাবাংলা/এনএল/এইচআই

অনলাইন ভোটিং নির্বাচন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর