অবশেষে ইসরায়েলের অনুমোদন পেল যুদ্ধবিরতি চুক্তি
১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৪
ইসরায়েলের সরকার গাজা যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের সঙ্গে বন্দি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির মন্ত্রীসভা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে দুইজন চরম ডানপন্থী মন্ত্রী এই চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা এই চুক্তি অনুমোদন করার সুপারিশ করেছে এবং এটিকে যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক বলে বর্ণনা করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করে ৬ সপ্তাহে কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি সেনারা গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ঘরে ফেরার অনুমতি পাবে, এবং প্রতিদিন শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু হবে।
আরো পড়ুন- হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি পাবেন যারা
তৃতীয় ধাপে গাজার পুনর্গঠন এবং অবশিষ্ট জিম্মিদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। চুক্তির প্রথম পর্যায়ে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্ক এবং আহতরা থাকবেন বলে কাতার জানিয়েছে।
চুক্তির অনুমোদনের আগে চরম ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এই চুক্তিতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘জিম্মি বিনিময়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
হামাসের সঙ্গে ৭ অক্টোবর সংঘটিত যুদ্ধের পর থেকে গাজায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এবং অধিকাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, খাদ্য, ওষুধ, ও জ্বালানির অভাবে সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে।
চুক্তি কার্যকর করতে শুক্রবার কায়রোতে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রতিদিন গাজায় প্রবেশের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
তবে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১১৭ জন ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ৫০টি সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করেছে।
সারাবাংলা/এনজে