Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আ.লীগ নেতারা একাত্তরে ভারতে পালিয়েছিল, চব্বিশেও গেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৭ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৯

শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ষোলশহরে বিপ্লব উদ্যানে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে পালিয়ে যাবার ইতিহাস। আওয়ামী লীগ নেতারা একাত্তরেও পালিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল, চব্বিশেও পালিয়ে ভারতে চলে গেছে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর ষোলশহরে বিপ্লব উদ্যানে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মেয়র এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে, তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। এই বিপ্লব উদ্যানে এসে তিনি আই রিভোল্ট- বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।’

‘ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের একত্রিত করে জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে কিন্তু তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত আরও বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পরের একদলীয় শাসন থেকে দেশকে বের করে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহিদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই ইতিহাস আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘অথচ এই আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে শুধু পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। তারা ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালেও নেতাকর্মীদের এতিম করে পেছনের দরজা দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন, তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের বইয়ে একথা লেখা আছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন। তারা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।’

এ সময় নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গোলাম কাদের নোবেল, মহানগর জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

আওয়ামী লীগ চসিক মেয়র টপ নিউজ ভারত শাহাদাত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর