Monday 20 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০১ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৬

– ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ সমর্থনের কথা জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঘোষণাপত্রের বিষয়ে এ পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্ন মত শুনিনি।
তবে জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’। সরকার শুধু একটি সুবিধাদাতার ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ হচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আমি কোনো ধারনা চাপিয়ে দিচ্ছি না। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে ঐকমত্য হবে বলে আশা করা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হলে, সরকার তাদের তা স্বাক্ষর করার অনুরোধ করবে, যেন একটি ‘জুলাই চার্টার’ গড়ে তোলা যায়। ‘আমরা জানি না বিষয়বস্তুতে অনেক কিছু থাকবে, নাকি কিছু বিষয় থাকবে’- মার্কিন কূটনীতিককে বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ড. ইউনূস আরও বলেন, এটি কঠিন কাজ, আমাদের রয়েছে বিভিন্নমুখী মতামত। তবে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। একবার স্বাক্ষরিত হলে আমাদের রাজনীতি জুলাই চার্টারের ওপর ভিত্তি করে চলবে।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা যায়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। এই ধারণা থেকেই সার্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং আমরা এর উদ্ভাবক। সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার কথা রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন তিনি।

ড. ইউনূস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানির শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং তিনি দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলার বৃহত্তর আমদানির অর্থ দেবে।

সারাবাংলা/জিএস।

সারাবাংলা/জিএস/আরএস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন

বিজ্ঞাপন

রিয়াল ছাড়ছেন আনচেলত্তি?
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:১০

আরো

সম্পর্কিত খবর