Monday 20 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্ধ পাটকলে হবে সারের গুদাম: কৃষি সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৯ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৮

রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান

ঢাকা: কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশ থেকে সারের সংকট চিরতরে জাদুঘরে পাঠানো হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সারের মজুদাগার নির্মাণ করা ছাড়াও সম্ভাব্য বিকল্প স্থানে মজুদাগার তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বন্ধ পাটকলগুলোতে সারের গুদাম করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দু’দিন ব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিন বিজ্ঞানি ড. আবেদ চৌধুরি, বিএেজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআইবির প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকত।

বিজ্ঞাপন

কৃষি সচিব বলেন, ‘বন্ধ ঘোষণা করা বা পরিত্যক্ত পাটকলগুলোতে সারের মজুদাগার করা হবে। এরইমধ্যে আমরা বিজেএমসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রথমে দুই থেকে তিনটি পাটকল আমরা ভাড়া নেবো।  বৈশ্বিক বাজার থেকে স্বল্প দামে সার কিনে এনে এগুলোতে মজুদ রাখা সম্ভব হবে। এতে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অফ সিজনে সার কিনে আনতে চাই। তাহলে কম দামে সার কেনা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে অর্থ বাঁচবে। এছাড়া সার পরিবহন ব্যবস্থাকেও আধুনিক করতে চাই। প্রতিটি ট্রাক কোন যায়গা থেকে কোন যায়গায় সার নিয়ে যাচ্ছে- তা মনিটরিং করা যাবে, এমন পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, বিজেএমসির অধীন বন্ধ থাকা পাটকলগুলোকে ন্যায্য দামে লিজ নিয়ে সারের গুদাম তৈরির প্রাথমিক আলোচনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন হতে পারে।

কৃষি সচিব বলেন, সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে মজুদাগার নির্মানের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে সামনের দিনে কৃষি খাতে প্রকল্পে এক টাকাও বাড়াতে চাই না। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করা এবং প্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে ভারসাম্য আনা হবে। এখন দেশে সার নেই, এই কথা কেউ বলতে পারবে না। দামের কিছুটা তারতম্য হচ্ছে, সেটিও ঠিক করা হবে। কৃষককের স্বার্থ সর্বোচ্চ সুরক্ষা করা হবে।

অপ্রয়োজনীয় ধানের জাত উদ্ভাবন থামানো হচ্ছে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, বীজ উদ্ভাবনের চেয়ে মাঠে যেসব জনপ্রিয় বীজ রয়েছে সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেসব বীজ কৃষকের লাভ দিচ্ছে সেগুলো কৃষকের কাছে পৌছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষনা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব জাত মাঠে কাজ করে না শুধু শুধু জাতের সংখ্যা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে

কৃষি সচিব পাটকল মজুদ সার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর