অভিবাসন ব্যয় কমানোর দাবি বিশেষজ্ঞদের
২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৮ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩২
ঢাকা: অভিবাসন ব্যায় কমানোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শ্রম ভবনে ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবর অর্গানাইজেশন (ILO)’ ও ‘WARBE Development Foundation’ আয়োজিত এক সেমিনারে এই দাবি জানান তারা।
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরুর) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সম্ভাব্য বড় শ্রমবাজার হিসেবে মালয়েশিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কারণ সিন্ডিকেট ও দুর্নিতির ছত্রছায়ায় এই প্রক্রিয়া থমকে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা মনে করছি, অভাবাসী শ্রমিকদের জন্য আলাদা কমিশন গঠন করতে হবে। যেখান থেকে, নির্দিষ্ট সিস্টেমে সকল কাজ পরিচালনা করা হবে। এতে করে সিন্ডিকেট ও দুর্নিতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
WARBE এর চেয়ারম্যান সাঈদ সাইফুল হক বলেন ‘মজুরি এবং অন্যান্য দাবিগুলোর দ্রুত সমাধানের জন্য আরও শক্তিশালী ব্যবস্থার প্রয়োজন। এটি অভিবাসীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা পরিবারের সদস্য ও সমাজ-সম্প্রদায় তাদের রেমিটেন্সের ওপর নির্ভর করে ও তাদের অর্থ উৎস দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ‘বিল্ড ব্যাক বেটার’ (আরও উন্নততর পুণর্গঠন/পুণর্নির্মাণ) এর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
লেবর রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সাঈদ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাতীয় পর্যায়ে ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার চর্চা থেকে বঞ্চিত। তাই ভোট দেওয়ার একটি সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে হবে, যাতে প্রবাসীরা সহজে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সক্ষম হন।’
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য বেশ কিছু কার্যকর সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়। সুপারিসগুলো হচ্ছে-
১. সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভেঙে প্রতিযোগিতামূলক বাজার প্রতিষ্ঠা।
২. স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা
৩. উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ের কারণে দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন যারা, তাদের জন্য সহায়তা প্রোগ্রাম চালু করা
৪. দূর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা।
৫. ভবিষ্যতে কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি প্রনয়ণ করা।
সারাবাংলা/এফএন/এমপি