ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প নগরী
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:১০ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৫
ঢাকা: ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে আছে ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী স্থাপনের কাজ। চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। ফলে কোনো পূর্তকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। মূল প্রস্তাবে গত ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। পরবর্তীতে প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ব্যয় বাড়িয়ে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় সবজি, ফল, ইত্যাদি কৃষিপণ্য ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ একর জমিতে পরিবেশবান্ধব শিল্প কমপ্ল্যায়েন্স সমৃদ্ধ আধুনিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপন করা হবে। কিন্তু প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায় কোন পূর্তকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের জমি হস্তান্তরের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে গত বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও জমি হস্তান্তরের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এছাড়া পাশ্ববর্তী জমির মূল্যের তুলনায় জেলা প্রশাসন নির্ধারিত জমির মূল্য কম হওয়ায় প্রকল্পভুক্ত ৪৫ জন জমির মালিক একত্রিত হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দাখিল করেছেন। এমতাবস্থায় রিটকারি জমির মালিকদের শুনানি করে হাইকোর্টে জবাব পাঠিয়ে দ্রুততম সময়ে জমি হস্তান্তর করা হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এরইমধ্যে রিটকারিদের শুনানি শুনে হাইকোর্টে জবাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জনবলের ঘাটতি থাকায় এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা দিতে দেরি হওয়ায় মাত্র ৮টি চেক জমির মালিকদের মাঝে বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে।
সভায় অর্থবিভাগের প্রতিনিধি জানান, রিটটি কজলিস্টে তুলে তা ভ্যাকেট করে জমি হস্তান্তর দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ বিষয়। রিটকারিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক শুনানি করে ফয়সালা করলে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।
যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা) জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত জমির হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।
সভার সভাপতি জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রকল্পটি এরই মধ্যে একবার সংশোধন করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমই এখানো শেষ করা হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। জমির মালিকদের দ্রুত চেক বিতরণ করে জেলা প্রশাসন থেকে জমির দখল বুঝে নিতে হবে।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস
ঠাকুরগাঁওয়ে বিসিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পনগরী ভূমি অধিগ্রহণ