‘জামায়াত-চরমোনাই বৈঠক নিয়ে দুঃচিন্তার কোনো কারণ নেই’
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৫ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫০
ঢাকা: জামায়াতে ইসরামী বাংলাদেশ ও চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের বৈঠক নিয়ে দুঃচিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াঁজো কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খেলাফত মজলিসের লিয়াঁজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে বিএনপির নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন দলটির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদেরসহ দলটির আরও চার শীর্ষ নেতা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের যারাই রাজনীতি করবেন, তারাই যার সঙ্গে যার মতের মিল হবে এক সাথে কাজ করার জন্য চিন্তা করতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে— এটা নিয়ে কারও কোনো দুঃচিন্তা থাকার কারণ নাই। এক সময় একদল আরেক দলের বিরোধিতা করেছে, সমালোচনা করেছে আবার আন্দোলনের এক পর্যায় গিয়ে তারা একমত হয়েছে। এটাতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’
তিনি বলেন, ‘‘আজকে যারা একমত, কালকে তারা একমত নাও থাকতে পারে। এটাও ঘটেছে বাংলাদেশে বহু। তাতেই বা অবাক হওয়ার কী থাকতে পারে? কাজেই এই বিষয়গুলো নিয়ে দুঃচিন্তাগ্রস্ত বা এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তারা তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে যা উচিত মনে করবেন, তারা তা নিশ্চয় তা করবেন।’’
নতুন কোনো জোট হতে যাচ্ছে কিনা?— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো ঐক্যবদ্ধ আছিই। আপনারা জানেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যারাই আমরা এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রত আছি, আগামীতে যদি জনগণের সেবার করার সুযোগ আল্লাহ দেয়,তাহলে তারাই তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা এক সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে এদেশের জনগণের জন্য কল্যান করার চেষ্টা করব। কাজেই এক ধরনের জোট তো হয়েই আছে আমাদের মধ্যে। যারাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে একযোগে, তারা সবাই আমাদের আন্দোলনের সাথী ছিলেন, আগামী দিনগুলোতেও তারা আমাদের সাথী থাকবেন।’’
নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামবেন কিনা?— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দাবি অযৌক্তিভাবে অগ্রাহ্য হলে আন্দোন সংগ্রাম তো হয়ই। অতীতেও হয়েছে। এটা (নির্বাচনের দাবি) তো অগ্রায্য কেউ করে নাই। কাজেই এখনই আন্দোলনের প্রশ্ন আসছে কেন?’’
সারাবাংলা/এজেড/ইআ