মজুত সরবরাহ ঠিক রাখতে ১০ লাখ টন চাল কিনবে সরকার
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৩ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৮
ঢাকা: খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয় সে জন্য সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
১০ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিমাণ চাল আমদানি নির্ভর করবে বোরো ধান উৎপাদনের ওপরে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারন কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং এ তথ্য জানান তিনি।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমনের ঘাটতি একটা হয়েছে অকাল বন্যার কারণে। ঘাটতি হয়েছে আউশেও। আমাদের সামনে আছে বোরো। আমরা আশা করছি যদি বোরোর ভাল উৎপাদন হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে আমরা আমদানির ওপরে নির্ভরতা কমাতে পারব। তবে তার জন্য আমরা অপেক্ষা করব না বিদেশ থেকে আমদানি অব্যাহত থাকবে। তবে দেশে যদি উৎপাদন ভাল হয় তাহলে আমদানি কমবে, যদি কম হয় তাহলে বাড়তেও পারে।’
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার আরও বলেন, ‘খাদ্যের মজুত ও সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা মাল্টিপল সোর্স ব্যবহার করব। অভ্যন্তরীণভাবে চাল সরবরাহ কম হয়। চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন। তবে তা নির্ভর করবে বোরো ধান উৎপাদনের ওপর। আবার কোনো কারণে বোরো উৎপাদন যদি ব্যহত হয় তাহলে আমদানির পরিমাণ বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, বোরো আহরণ শুরু হয় ১৫ এপ্রিল থেকে। তবে হাওরের বোরো আগে ওঠে। আমাদের টার্গেট এই বোরো সংগ্রহ। এখানে ২৫ লাখ টন বোরো উৎপাদন হয়। এর ওপরে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এরই মধ্যে ২২ হাজার টন চাল দেশে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে চাল আমদানি করা হবে। ৩ লাখ মেট্রিক টন গম কেনা হবে। এরমধ্যে রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন। চালের একটা বড় অংশ আসবে ভারত থেকে। আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে চাল কেনা যাবে। কিন্তু ভারতে চালের দাম কম, পরিবহণ খরচ কম থাকায় ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে চুক্তি করা হয়েছে। আবার ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির জন্য আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি কথা বলেন, ‘বাজারে চালের দাম নিয়েও। চালের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘৮০ টাকা দিয়ে চাল যিনি এফোর্ট করতে পারবেন তিনি করবেন। আমরা চেষ্টা করব যাতে এটাও কমে। আমরা বিদেশ থেকে যে চালটা আনছি সেটার মান অনেক ভালো। আমরা ৩০ টাকা দামে ওএমএসএ দিচ্ছি, টিসিবি দিচ্ছে আরও কমে।’
খাদ্য উপদেষ্টা হিসেবে চালের দাম স্বাভাবিক কী-না সে প্রশ্নে বলেন, ‘আরও কমলে ভালো, খুশি হবো। তবে কৃষকের কথাও ভাবতে হবে। উৎপাদন ব্যয়ের কথাও চিন্তা করতে হবে।’
উল্লেখ্য, চাল ও গম মিলিয়ে মোট মজুত ১২ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাল ৮ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন, গম ৩ লাখ ৮১ হাজার ১৩৬ মেট্রিক টন এবং ধান ১২ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন।
সারাবাংলা/জেআর/এমপি