Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়নে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৯ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০৫

বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন-ইআরএফ-এর সহযোগিতায় ‘এসএমই নীতিমালা-২০২৫: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক র্মশালার আয়োজন করা হয়

ঢাকা: দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ২০১৯ সালের নীতিমালার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শিল্প মন্ত্রণালয় তৈরি করছে এসএমই নীতিমালা ২০২৫। তবে এই নীতিমালা বাস্তবায়নে নজরদারির পাশাপাশি বাস্তবায়ন সহযোগী মন্ত্রণালয় ও দফতরসমূহের অনুকূলে বাজেটে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

বুধবার (২২ জানুয়রি) এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন-ইআরএফ-এর সহযোগিতায় ‘এসএমই নীতিমালা-২০২৫: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ: গণমাধ্যমের ভূমিকা’ কর্মশালায় এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকিন আহমেদ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

মূল প্রবন্ধে এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এসএমই নীতিমালা ২০২৫-এর সম্ভাব্য বাস্তবায়নকাল জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০৩০। নীতিমালায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে ১০টি কৌশলগত লক্ষ্যের আওতায় ৮৩টি কর্মকৌশল/কৌশলগত হাতিয়ার এবং ৩১০টি কার্যক্রম রয়েছে। প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য প্রধান বাস্তবায়নকারী (লিড ও কো-লিড) সংস্থা ছাড়াও সহযোগী বাস্তবায়নকারী (অ্যাসোসিয়েট) মন্ত্রণালয়/সংস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। কর্মকৌশলসমূহকে স্বল্পমেয়াদী (১ বছর), মধ্যমেয়াদী (২-৩ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদী (৪-৫ বছর)- ৩ ভাগে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এই নীতিমালা বাস্তবায়নে নিয়মিত সভা আয়োজন, অর্থ বরাদ্দ, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার নজরদারি, ঢাকার বাইরে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয় স্থাপন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিরও প্রাণশক্তি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাত। বাংলাদেশের জিডিপিতে এই খাতের অবদান প্রায় ২৮ শতাংশ। শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে। এই খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকারি নীতিমালা, কৌশলপত্র ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন ।এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসএমই উদ্যোক্তাদের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ যাবত ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা, ৯১টি আঞ্চলিক ও বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা, ৪টি হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের পাশাপাশি দুইশো’রও বেশি উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণে সহযোগিতা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। একজন তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তাসহ ৫৭ জন সফল উদ্যোক্তাকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

মো. মুশফিকুর রহমান আরো বলেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এসএমই নীতিমালা ২০২৫ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমাদের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে এই নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে সিএমএসএমই খাতের অবদান উন্নত দেশগুলো এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও অনেক কম। পাকিস্তানে এই হার ৪০ শতাংশ , শ্রীলংকায় ৫২ শতাংশ, চীনে শতাংশ, ভারতে শতাংশ। এই খাতের বিকাশ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবত সারা দেশে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, এসএমই খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে, অর্থের সীমিত এক্সেস, উচ্চ সুদের হারের কারণে অর্থায়নের সমস্যা, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, পর্যাপ্ত নীতিমালার অভাব, পণ্যের বাজারজাতকরণের সমস্যা, যা উত্তরণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন।

সারাবাংলা/জিএস/আরএস

এসএমই নীতিমালা এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর