ঢাকা: কেরানীগঞ্জ (ঢাকা কেন্দ্রীয়) কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ৪৭ জন কারাবন্দি বিডিআর জওয়ান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ বৃদ্ধ, কেউ অসুস্থ আবার কেউ মানসিক রোগে আক্রান্ত। মুক্তির পর তারা কেবলই তাকিয়ে ছিলেন। একেবারই যেন নিস্তব্ধ হয়ে গেছেন তারা।
এরপরেও দুএকজন দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হয়ে ওঠেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বাইরে আগে থেকেই মুক্তি পাওয়া অন্যান্য বিডিআর জওয়ানরা।
মুক্তি পাওয়া বিডিআর জওয়ানরা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
তারা বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় মামলায় আরও যারা কারাগারে রয়েছেন তাদের দ্রুত মুক্তি; যারা চাকরি হারিয়েছেন, নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাদের ক্ষতিপূরণনসহ চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া এবং সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
হাবিলদার এমদাদুল হক সকলের উদ্দেশ্য বলেন, ‘একজন জওয়ানও বন্দি থাকা অবস্থায় আমরা আন্দোলন থেকে পিছপা হব না। সবাইকে মুক্ত করেই ছাড়বো। এজন্য মুক্তিপ্রাপ্ত সকলকে আমাদের সঙ্গে থাকতে হবে।’
ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিডিআর তিন শতাধিক সদস্য ১৫ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দিরা মুক্তি পান।