বাংলাদেশের বন্দর খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বড় ২ প্রতিষ্ঠান
২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৬
ঢাকা: বিশ্বের দুই শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্ক বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় আকারের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণ এবং বাংলাদেশকে বৈশ্বিক রফতানি কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চায়।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে দাভোসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলাইম এবং এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা এই প্রস্তাব দেন। সংবাদমাধ্যম বাসসের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং জাহাজজট কমাতে তারা নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে চান। তিনি বলেন, এ বিনিয়োগ দূষণ কমানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণেও সহায়ক হবে।
সুলতান আহমেদ আরও উল্লেখ করেন যে ডিপি ওয়ার্ল্ড যেখানে বিনিয়োগ করেছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। তিনি জানান, ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা তখনকার সরকার গ্রহণ করেনি।
অপরদিকে, এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্কের চেয়ারম্যান রবার্ট মোলার উগলা চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এটি একটি পরিবেশবান্ধব বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, কারণ সময়ই বড় একটি ব্যয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক রফতানি হাব হিসেবে গড়ে তুলতে এটি উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপাল এবং ভুটানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
ডিপি ওয়ার্ল্ড এবং এ. পি. মোলার-মেয়ার্স্কের কর্মকর্তাদের ঢাকা সফরে এসে তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের আমন্ত্রণ জানান অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমাদের বঙ্গোপসাগরের উপকূলজুড়ে নতুন বন্দর নির্মাণ করতে হবে, যাতে আমরা আঞ্চলিক বাণিজ্যের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারি।’
সারাবাংলা/এনজে