‘উত্তাপহীন’ সবজি, আদা-রসুনের দর কিছুটা বাড়তি
২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একমাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাপহীন সবজির বাজার এখনও উত্তাপহীনই আছে। বরং কিছু শাকসবজির দাম আরও কমেছে। যেমন- আলু, পেঁয়াজের দাম। তবে দাম কিছুটা বেড়েছে আদা-রসুনের। আর চালের চড়া দর এখনও ভোগাচ্ছে নিম্ন-মধ্য আয়ের ক্রেতাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার ও আসকার দিঘীর পাড় কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কমেছে। মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচের দামও কেজিতে অন্তঃত ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দামও কমে ২০ থেকে ৩০ টাকায় নেমেছে। মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. মনির সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবজি যেভাবে আসছে, আরও মাসখানেক দাম কম থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’
বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি দর এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার নিম্নমুখী হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে আদা ও রসুনের দাম কেজিতে অন্তঃত ১০ থেকে ২০ টাকা কম ছিল।
মুদি দোকানের অন্যান্য পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়, পাম তেল সুপার ১৫৯ থেকে ১৬২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা ও বোতলজাত ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
চালের দর এখনও বাড়তি আছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে প্রতি কেজি পাইজাম আতপ ৭৫ টাকা, কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ৭০ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, জিরাশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে মাছের মধ্যে লইট্যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ১৩০-১৪০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ও বড় ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে চাষের শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের দামে তেমন হেরফের হয়নি।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গরু ও মহিষ কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাংসের দামও গত সপ্তাহের মতোই আছে।
ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতিডজন ২৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সারাবাংলা/আরডি/এনজে