Friday 24 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য না থাকলে অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়বে’

স্পেশাল করেসপডেন্ট
২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০০

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

ঢাকা: ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য না থাকলে অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ কমিটির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি। ‘সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন বাজার সিন্ডিকেট এবং নতুন করে আরোপিত ভ্যাট ও ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখী করা হয়েছে। আমরা মনে করি সংস্কার ও নির্বাচন মুখোমুখী বিষয় নয়। নির্বাচনের জন্য সংস্কার দরকার, আবার সংস্কার শেষ করার জন্য নির্বাচন দরকার। কাজেই সংস্কারের কথা বলে কেউ যদি নির্বাচন বিলম্বিত করতে চান সেটা জনগণ মানবে না। আবার নির্বাচনের জন্য যদি সংস্কার আড়াল হয়ে যায়, সেটাও মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। সেটা করার জন্য ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাস্টিটের সঙ্গে ফ্যাস্টিট ব্যবস্থা বিদায় দেওয়ার জন্য দেশের জনগণ লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে। সেটা করতে চাইলে সকলের মধ্যে ঐক্য রক্ষা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানে ছাত্র-তরুণরা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু দেশের শ্রমিক-জনতা, সকল রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অভ্যুত্থানে যুক্ত হয়েছিলেন। অভ্যুত্থানে শ্রমিকের অধিকার কোথায়? কৃষকের অধিকার কোথায়? সংখ্যালঘু, আদিবাসীদের অধিকার কোথায়? সকল মানুষ জবাব চায়। একইসঙ্গে ঐক্য রক্ষা করে রাজনৈতিক সংকট পার করে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটাতে চায়।’

বিজ্ঞাপন

ফ্যাসিবাদের পতন হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফেরেনি উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আমাদের সংকট ও সংঘাত ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার স্পষ্ট বার্তা এই বন্দোবস্ত আর চলবে না। আমাদের নতুন বন্দোবস্ত লাগবে। তাই আগামী নির্বাচন হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের, গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠার, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও জনগণের পক্ষের আইন তৈরির নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে সরকারকে কাজ করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নানাভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতের কাছে জবাবদিহি চাইতে হবে।’

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভ্যাটের নামে জনগণের পকেটে হাত দেওয়ার আগে রাষ্ট্রের উচিত লুটপাটে হারিয়ে যাওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে নজর দেওয়া। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত আয়কে শুল্ক-করের নাম করে হাতিয়ে নেওয়া শুধু অন্যায়ই নয়, এটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার একটি অমানবিক প্রবণতা। দেশের আর্থিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে লুটপাট, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে রাষ্ট্রের সম্পদ উদ্ধার করতে হবে।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু ও তসলিমা আখতার, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব মোহাম্মদ বাবুল, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান ও সদস্য সচিব শহীদুজ্জামান, সংগঠক রতন তালুকদার, কায়সার আহমেদ, লুবানা তাবাসসুম, নূর ইসলাম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই

গণসংহতি আন্দোলন জোনায়েদ সাকি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর