ঢাকা: প্লাস্টিক হাওয়াই চপ্পল ও প্লাষ্টিক পাদুকার (১৫০ টাকা মূল্য সীমা পর্যন্ত) উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি’। দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও চূড়ান্ত পর্যায়ে কারখানা বন্ধের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সমিতির উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
‘জুলাই বিপ্লবের ফসল, নাকি আইএমএফ এর চাপে গরীবদের উপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে’- এমন প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, প্ল্যাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার অত্যন্ত অযৌক্তিক। এর ফলে এই সাশ্রয়ী পণ্যটি সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বিশেষত শ্রমজীবী, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যান চালক এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
তারা বলেন, আমরা ভ্যাট আইন মানি, তবে তা অবশ্যই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করে দেশের পাদুকা শিল্প এবং সাধারণ জনগণের স্বার্থ রক্ষা করুন।
সমিতির নেতারা বলেন, প্ল্যাস্টিক ও রাবার দিয়ে তৈরি যাওয়াই চপ্পল ও পাদুকা মূলত রিসাইক্লিং পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত পরিবেশবান্ধব পণ্য। এই পণ্য উৎপাদনে প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় পরিত্যক্ত রাবার ও প্লাস্টিক জাতীয় অপচনশীল দ্রব্য, যা স্বাভাবিকভাবে পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দুই দিক থেকে পরিবেশ রক্ষা সম্ভব হয়েছে। প্রথমত, টোকাই এবং অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই পরিত্যক্ত রাবার ও প্লাস্টিক সংগ্রহ করে, যা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত, এই অপচনশীল পণ্যগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য হিসেবে তৈরি হওয়ায় পরিবেশ দূষণ রোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (রানা), সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান রহমান (সাজু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন ।