গুজব ছড়িয়ে সিইপিজেডকে অস্থির করা হচ্ছে: সিএমপি
২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৩ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ (সিইপিজেড) এলাকায় ‘ইচ্ছাকৃত গুজব’ ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর সঙ্গে কিছু ‘কুচক্রী মহল’ ও বহিরাগতরা জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (জনসংযোগ) রইছ উদ্দিন।
উল্লেখ্য গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে সিইপিজেডে নির্মাণাধীন একটি ভবনে কয়েকজন শ্রমিককে আটকে রাখার ‘গুজবে’ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ বিষয়ে প্রকৃত তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপকমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কুচক্রী মহল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃত গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলে ইপিজেডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এর সঙ্গে বহিরাগতরাও যুক্ত হচ্ছে।’
সিইপিজেডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, গত বুধবার রাতে সিইপিজেডের দুই নম্বর সড়কের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙ্গা লোহা খুঁজতে যায় তিন শিশু। এসময় তাদের বেঁধে রেখে জবাই করে খুনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শ্রমিকরা নির্মাণাধীন ভবনটির পাশাপাশি বেপজা কার্যালয় ভাংচুর করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে রাত ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই তিন শিশুকে বিক্ষোভকারীদের সামনে হাজির করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। হামলায় বেপজার তিন কর্মকর্তা আহত হন।
তবে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সিইপিজেডের ভেতরে কিছু শ্রমিক আবারও একই বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ করে। সংবাদ সম্মেলনে আনুমানিক ১০ থেকে ১৪ বছর ওই তিন শিশুকেও হাজির করে সিএমপি।
গুজবের বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ করে রইছ উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। তিন শিশুকে নির্মাণাধীন ভবনে আটকে রেখে জবাই করার গুজব ছড়ানো হয়। কারখানার ওপর যাদের জীবিকা নির্ভর করে সে শ্রমিকরা এসব করতে পারে না। দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল সুপরিকল্পিতভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। দেশের পোশাকখাত অস্থিতিশীল হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হবে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমপি