ইসরায়েল মিশর ছাড়া সবার সহায়তা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪০ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৯
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েল ও মিশর বাদে অন্যান্য দেশের জন্য বিদেশি সহায়তা কর্মসূচির প্রায় সব ধরণের নতুন তহবিল স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এই আদেশ জারি করে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, জরুরি খাদ্য সহায়তা ব্যাতিত অন্যান্য স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য নতুন কোনো তহবিল বরাদ্দ করা হবে না।
নতুন নিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আইনের মধ্যে থেকে বিদেশি সহায়তার জন্য নতুন কোনো বাধ্যবাধকতামূলক তহবিল তৈরি করা হবে না সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।
মানবিক সংস্থাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে ও আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, এটি বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা এবং প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
অক্সফাম আমেরিকার প্রধান অ্যাবি ম্যাক্সম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিদেশী উন্নয়ন সহায়তা স্থগিত করে ট্রাম্প প্রশাসন সংকটে থাকা সম্প্রদায়ের জীবন ও ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
এই স্থগিতাদেশ কমপক্ষে তিন মাস স্থায়ী হবে। প্রথম ৮৫ দিনের মধ্যে রুবিও বিদেশি সহায়তার কর্মসূচি চালু রাখা, পরিবর্তন বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ইসরায়েল ও মিশরের জন্য এই সহায়তা স্থগিতাদেশ থেকে বাদ রাখা হয়েছে। কারণ এই দুই দেশ বড় পরিমাণে মার্কিন সামরিক সহায়তা পায়।
এ ছাড়া ২০০৩ সালে শুরু হওয়া প্রেসিডেন্টের জরুরি এইডস রিলিফ পরিকল্পনা তহবিলও স্থগিত হতে পারে। এরই মধ্যে এটি আড়াই কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছে।
ইউক্রেনের জন্য কোনো ব্যতিক্রম রাখা হয়নি। ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেন মার্কিন অস্ত্র সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ৬০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহায়তা খরচ করেছে, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রের মোট সরকারি ব্যয়ের মাত্র ১ শতাংশ।
সারাবাংলা/এমপি