বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রকল্প
সংযোগ সোয়া ২ লাখ কমলেও ব্যয় বাড়ছে ২৫ শতাংশ
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০০ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:১২
ঢাকা: চলমান প্রকল্পে মিটার স্থাপনের সংখ্যা সোয়া ২ লাখের বেশি কমানো হলেও বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রকল্পে প্রায় ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরিত প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে প্রকল্প ব্যয় বাড়ছে ২৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। একই সঙ্গে প্রকল্পের মেয়াদ আরও ১০ মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, ‘স্মার্ট প্রি পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অব বিপিডিবি’ শীর্ষক প্রকল্পটির মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ ২০ হাজার সিঙ্গেল-ফেইজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার এবং ৩০ হাজার থ্রি-ফেইজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের কথা ছিল। সংশোধনী প্রস্তাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ৭৭২ কোটি ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ এবং মিটার স্থাপনের সংখ্যা কমিয়ে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮১টি সিঙ্গেল-ফেইজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার এবং ২৩ হাজার ৯৬৩টি থ্রি-ফেইজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া প্রকল্পের ডাটা কন্সেস্ট্রেটর ইউনিট (ডিসিইউ) এবং হ্যান্ড হেল্ড ইউনিটের সংখ্যাও কমছে। মূল প্রস্তাবে ৮ হাজার ৮৩১টি ডাটা কন্সেস্ট্রেটর ইউনিট (ডিসিইউ) এবং ২৫টি হ্যান্ড হেল্ড ইউনিটের সংস্থান ছিল। সংশোধনী প্রস্তাবে ৭ হাজার ৭৯টি ডাটা কন্সেন্ট্রেটর ইউনিট (ডিসিইউ) এবং ২০টি হ্যান্ড হেল্ড ইউনিটের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে সংশোধনী প্রস্তাবে সিঙ্গেল-ফেইজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের সংখ্যা মূল ডিপিপি থেকে ২ লাখ ২২ হাজার ৪১৯টি; থ্রি-ফেইজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের সংখ্যা ৬ হাজার ৩৭টি; ডাটা কন্সেন্ট্রেটর ইউনিট (ডিসিইউ) ১ হাজার ৭৫২টি এবং হ্যান্ড হেল্ড ইউনিট ৫টি কমানো হয়েছে।
অন্যদিকে সংশোধিত ডিপিপিতে ‘রেন্ট বেইজ ট্রান্সপোর্ট’ শীর্ষক ১টি নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংশোধনী প্রস্তাবে প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে উল্লেখিত কর্মপরিধি হ্রাস; নতুন অঙ্গ সংযোজন; প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয় বাড়া বা কমা এবং এডিবি’র ঋণের সুদের হার এবং লোন পিরিয়ডের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এডিবি’র ঋণের সুদের হার এবং লোন পিরিয়ডের পরিবর্তনের বিষয়ে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মূল ডিপিপিতে এডিবি প্রদত্ত বৈদেশিক ঋণের সুদের হার ৪ শতাংশ এবং লোন পিরিয়ড ২০ বছর নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৮ জুন স্বাক্ষরিত সাবসিডিয়ারি লোন এগ্রিমেন্টে (এসএলএ) সুদের হার বাড়িয়ে ৬ শতাংশ এবং লোন পিরিয়ড কমিয়ে ১৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি খারাপ নয়। কাজ শুরু হওয়ার প্রায় ২ বছর ৯ মাসে প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি প্রায় ৭০ শতাংশ।
বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় প্রকল্পটির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রকল্পের কর্মপরিধিতে পরিবর্তনের ফলে প্রকল্পের কাঙ্খিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন বাধাগ্রস্থ হবে কি না এবং সংশোধনী প্রস্তাবে যেসব কাজ বাদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস
২৫ শতাংশ বিদ্যুতের স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে সংযোগ