Monday 27 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লেবানন থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৪ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৬

লেবানন থেকে এখনও সব সেনা প্রত্যাহার করেনি ইসরায়েল

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়সীমা রোববার (২৬ জানুয়ারি) শুরুতে শেষ হয়েছে, তবে কিছু এলাকায় এখনও সেনা থাকছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায় তাদের সেনারা এখনও রয়ে গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া ৬০ দিনের এই চুক্তি ১৪ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি সেনা দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যাবে এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও অস্ত্রও ওই অঞ্চল থেকে সরানো হবে। একইসঙ্গে, হাজার হাজার লেবানিজ সেনা ওই এলাকায় মোতায়েন করা হবে।

গত সেপ্টেম্বর সংঘাত তীব্রতর হয়, যখন ইসরায়েল লেবাননজুড়ে বিমান হামলা, হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যা এবং দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালায়। এতে প্রায় ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এছাড়া ১২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ‘লেবানিজ সেনাবাহিনী যদি দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন হয় এবং পুরোপুরি চুক্তি বাস্তবায়ন করে, তবে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। তবে এই প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে চলবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে হবে।’

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) লেবাননের সেনাবাহিনী জানায়, তারা সীমান্ত এলাকায় সেনা মোতায়েন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তবে ইসরায়েলি সেনাদের দেরি করে সরে যাওয়া তাদের কাজ জটিল করে তুলছে। ফলে সীমান্ত এলাকায় ফিরে যাওয়া থেকে বাসিন্দাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানায়, সময়সীমা মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়া চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং লেবাননের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ। তবে দলটি ইসরায়েলি সেনা লেবাননে থাকলে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা উল্লেখ করেনি।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হিজবুল্লাহ বর্তমানে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে দলটি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভাবও হ্রাস পেয়েছে।

এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে হিজবুল্লাহর আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এতে তাদের অবকাঠামো এবং অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস হয়েছে, শত শত যোদ্ধা ও নেতারা নিহত হয়েছে।

যদি হিজবুল্লাহ আক্রমণ পুনরায় শুরু করে, তবে দলটি নিজ সমর্থকদের মধ্যেও বিরোধিতার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট আউন দুর্নীতি মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইসরায়েল বলছে, তাদের যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত ৬০ হাজার বাসিন্দার প্রত্যাবর্তনের পথ তৈরি করা এবং সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর উপস্থিতি দূর করা।

সারাবাংলা/এনজে

ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার লেবানন হিজবুল্লাহ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর