গাজাবাসীদের জর্ডান-মিশরে স্থানান্তরে ট্রাম্পের প্রস্তাবে জাতিগত নিধনের আশঙ্কা
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৪ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫২
গাজা থেকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে জাতিগত নিধনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের জর্ডান ও মিশরে স্থানান্তর করা হতে পারে, যা সাময়িক বা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, তিনি সেদিন জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রবিবার (২৬ জানুয়ারি) মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে কথা বলবেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই মিশর ফিলিস্তিনি মানুষদের গ্রহণ করুক। প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে সরিয়ে পুরো গাজা পরিষ্কার করে বলব- এটা শেষ।’
ট্রাম্প জর্ডানের প্রশংসা করে বলেন, তারা অতীতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সফলভাবে গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজাকে বলেছি, আমি চাই আপনি আরও ফিলিস্তিনি গ্রহণ করুন, কারণ পুরো গাজা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।’
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কাতারের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল-আরিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল যুদ্ধের শুরুতেই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে জনগণকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আরব নেতারা এটি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা জানে, তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া মানে কী, এবং গত ৭০ বছরে শরণার্থীদের কী অবস্থা হয়েছে।’
ইসরায়েলের ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘তাদের অন্যত্র ভালো জীবন শুরু করতে সাহায্য করার আইডিয়াটি অসাধারণ। তিনি আরও বলেন, নতুন সমাধানের মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।’
তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজা থেকে স্থানান্তরের যেকোনো প্রচেষ্টা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’ বা বিপর্যয়ের স্মৃতি পুনরুজ্জীবিত করবে। মিশর ইতোমধ্যেই গাজা থেকে সিনাই মরুভূমিতে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। প্রেসিডেন্ট আল-সিসি বলেছেন, এটি মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৭৯ সালের শান্তি চুক্তি বিপন্ন করতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জর্ডান বর্তমানে ২৩ লাখ নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীর আবাসস্থল।
সারাবাংলা/এনজে
ইসরায়েল গাঁজা জর্ডান ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিন মিশর শরনার্থী