রাজশাহী চিনিকলের প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর
২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৯ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩০
রাজশাহী: রাজশাহী সুগার মিলে চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় রফিকুল ইসলাম নামের এক মৌসুমী চালককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মারধর করার প্রতিবাদে আহত চালকের লোকজন সুগার মিলের প্রশাসনিক ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ সময় মারফুল ইসলাম দুলাল নামের এক ওজনদারকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহত রফিকুল ও মারফুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রফিকুলের অভিযোগ, রেশন বিতরণের দায়িত্বে থাকা করনিক শাহীনুর রহমান ও ওজনদার মারফুল ইসলাম দুলাল তাকে মারধর করেছেন। তাকে রক্তাক্ত দেখে তার লোকজন হামলা চালান। রফিকুল দাবি করেন, এক বস্তা (৫০ কেজি) চিনির দাম ৬ হাজার ২০০ টাকা। কিন্তু তিনি চিনি নিতে গেলে সাড়ে ৬ হাজার টাকা চান। তিনি এর প্রতিবাদ করলে শাহীনুর ও মারফুল বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। এতে তার চোখের নিচে জখম হয়।
মার খেয়ে রফিকুল চিনিকল থেকে বের হয়ে বাসায় চলে যান। এ সময় তাকে রক্তাক্ত দেখে ‘এলাকার ছেলেরা’ চিনিকলে হামলা চালায়। রফিকুল দাবি করেন, তিনি নিজে ওই হামলায় যাননি। আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলেও জানান।
তবে রেশন করনিক শাহীনুর রহমান বলছেন, বেলা ১২টার দিকে রফিকুল ইসলাম রেশনের এক মণ চিনি নিতে আসেন। এ সময় তার কাছে চিনির দাম ছাড়াও বস্তার দাম বাবদ আরও ২০ টাকা চাইলে তর্কবিতর্ক শুরু করেন। এর জেরে রফিকুল ফোন করে তার নিজ এলাকা শ্যামপুরের লোকজনকে ডাকেন। কিছুক্ষণ পর অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এসে প্রশাসন ভবনে হামলা করে। এ সময় রেশম করনিক শাহীনুর ও ওজনদার মারফুলকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে শাহিনুর সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও দুলালকে রক্তাক্ত করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যদেরও ধাক্কা দেওয়া হয়।
চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন কবীর বলেন, হামলাকারীরা তিনতলা প্রশাসন ভবনের প্রতিটি ফ্লোরেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষ ভাঙচুর করেছে। চেয়ার-টেবিল ও টেবিলের কাঁচ ভাঙাচুর করা হয়েছে। সাতটি কম্পিউটার ও প্রিন্টার ভেঙে ফেলা হয়েছে। চিনি বিক্রির কিছু টাকাও লুট হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা দ্রুতই থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করব।
তিনি বলেন, কেন এমন ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনই বলতে পারছি না। পুলিশ এসেছে, তদন্ত করছে।
রাজশাহীর কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। হামলার খবর শুনেই এসেছি। তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসআর