তামাক কোম্পানির ফাঁদে পড়ে মাদকে আসক্ত তরুণরা
২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৪ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৯
ঢাকা: দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী তরুণ, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে। অথচ এই তরুণ সমাজ তামাক ও নানাবিধ নেশাদ্রবে আকৃষ্ট হচ্ছে, যা তাদের কর্মদক্ষতা ও মেধাবিকাশে বড় অন্তরায়। পাশাপাশি ফুসফুসের অসুখ, হৃদরোগ, মস্তিষ্কের সমস্যাসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সভা কক্ষে ‘তামাক ও মাদক প্রতিরোধে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, সিএসডাব্লিউপিডি ফাউন্ডেশন, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক, গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং এর নির্বাহী পরিচালক ডেবরা ইফরইমসন, সিএসডাব্লিউপিডি ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান ও ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রাখিল খন্দকার নিশান। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য’র সঞ্চালনায় সভায় ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ভিডিও ডকুমেন্টেশান এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভায় বেসরকারী সংগঠন ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মুনাফা লোভী তামাক কোম্পানি ও মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তরুণদেরকে নেশার দিকে ধাবিত করছে। রাজস্ব আয়, চাকরি মেলা, চোরাচালান, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচির আড়ালে কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানি ও পণ্যের প্রচারনা চালাচ্ছে। এসকল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কোম্পানিগুলো তামাকের প্রতি তরুণদের মধ্যে একটা ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে। যা পরবর্তীতে তামাকজাত দ্রব্য ও অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্যে তরুণদেরকে আকৃষ্ট করছে।
বক্তারা আরও বলেন, ধূমপান হলো মাদকের প্রতি আসক্তি তৈরির প্রথম ধাপ এবং তরুণদের ধীরে ধীরে মাদকের দিকে ধাবিত করে। তামাকের এ প্রভাবকে সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। তামাক নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসআর