শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল, যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে বিআরটিসি
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৩ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:১০
ঢাকা: সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ট্রেন পথের যাত্রীদের জন্য বিআরটিসির গাড়ির ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, যা সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এমন ২৫ টি বাস ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে। বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের সুবিধা দিতে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, চট্টগ্রাম রেল স্টেশন এবং বগুড়া রেল স্টেশন থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ টি বিআরটিসির বাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে কমলাপুর থেকে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-যশোর, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-জামালপুর, ঢাকা-ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়া, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-ময়মনসিংহ। এদিকে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মতিঝিল বিআরটিসির বাস ছেড়েছে। আর চট্টগ্রাম থেকে শুধু সিলেটে ছেড়ে গেছে। আর বগুরা রেলস্টেশন থেকে সৈয়দপুর-খুলনা, বগুড়া-নওগা, বগুড়া-শান্তাহারের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকেই বিআরটিসি বাসে যেতে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করা হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে যাত্রীদের নিয়ে বাস যাত্রা শুরু করে। যাত্রীরা বলছেন, রেলওয়ে বিআরটিসির ব্যবস্থাপনায় বাসের ব্যবস্থা করলেও সেগুলো দেরিতে ছাড়ছে। সকাল থেকে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর বাসে উঠতে পারছেন। এজন্য ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। আবার অনেকে বিআরটিসির অপেক্ষা করে না ছাড়ায় অন্য বাসের টিকিট কিনেছেন।
রাজশাহী পথের যাত্রী আনিসুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়ে আছি বিআরটিসির সামনে। কখন ছাড়বে কিছুই বলছেনা। তারপর নেমে অন্য বাসের টিকিট কিনলাম। এদিকে বিআরটিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রেনে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কতগুলো বাসের প্রয়োজন সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। যাত্রী চাহিদার ওপর নির্ভর করে বাস সরবরাহের চেষ্টা করা হবে।
এদিকে স্টেশনে এসে ট্রেন বন্ধের খবর শুনে অনেকে বাসে গন্তব্যে যাত্রা করেন। কমলাপুর, আরামবাগে বাসস্ট্যান্ডগুলোত যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজন না থাকা যাত্রীদের অনেকে বাড়ি ফিরে যান। অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে বলে জানান বাস কাউন্টারের কর্মচারীরা।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে