‘উই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ’
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৬ | আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৩
ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ও প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার বলেন, উই প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি অনন্য উদাহরণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা কেবল আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়নি বরং তাদের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে নারী নেতৃত্ব বিকাশের যে ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে, তা টেকসই উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের আমারি ঢাকা হোটেলে ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘নারী নাগরিক সংগঠনগুলোর ক্ষমতায়ন এবং সুশাসন নিশ্চিতকরণ (উই) প্রকল্প’ এর চূড়ান্ত লার্নিং শেয়ারিং কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ট্রেইডক্র্যাফট এক্সচেঞ্জের সহ-অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পটি নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নেতৃত্ব এবং টেকসই উন্নয়নের এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উই প্রকল্পের নারীদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ও প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির কনভেনর প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শামসুদ দৌজা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার লায়লা জেসমিন বানু, মহিলা বিয়য়ক অধিদফতরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জাকিয়া আফরোজ এবং এসএম সোহরাব উদ্দিন।
এ সময় ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ও অপারেশনের প্রধান জহির-বিন-সিদ্দিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি নারীর ক্ষমতায়ন সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। SADIPATI উইমেন কমিউনিটি স্টোর এবং ক্লিন কমিউনিটি সেন্টারের মতো উদ্যোগগুলো নারীদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। SADIPATI উইমেন কমিউনিটি স্টোর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১০৫টি গ্রামীণ স্টোর পরিচালিত হয়েছে, যা নারীদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উই প্রকল্পের নারীরা।
এ ছাড়া ক্লিন কমিউনিটি সেন্টারের মতো উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন। অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পকে কিভাবে আরও কার্যকর করা যায় সে বিষয়ে মতামত দেন। অনুষ্ঠানে উই প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে বিভিন্ন নারীর জীবন পরিবর্তনের গল্প শোনানো হয়, যারা উই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন। তাদের জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে তারা এই প্রকল্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ