রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি
রেল ভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

ঢাকা: আন্দোলনরত রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবির বিষয়ে সমঝোতা ও রেল চালুর লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টার ওই বৈঠকে কোনো সমঝোতা হয়নি। ফলে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন রেল শ্রমিকরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শ্রমিক প্রতিনিধিদের ছাড়াই রেল ভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছেন রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিকেলে রেল ভবনের সভাকক্ষ পদ্মায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে।

বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, রেল সচিব ফাহিমুল ইসলাম এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত বারোটার পর থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। রানিং স্টাফদের দাবি- মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা পাওয়া।

এদিকে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলপথের যাত্রীরা।

মঙ্গলবার দুপুরের বৈঠক থেকে বেরিয়ে রানিং স্টাফ প্রতিনিধি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, সমঝোতা বা সিদ্ধান্ত হয়নি, রেলের কর্মবিরতি চলবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি সাইদুর রহমান সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ রেল সচিব ও মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পেরে বেরিয়ে এসেছি।

এর আগে সকালে রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, আলোচনার দরজা খোলা আছে। প্রয়োজনে আবারও আলোচনা করা হবে।

এরপর দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, রেলকর্মীদের কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। যেকোনো যৌক্তিক দাবি এলে অর্থ মন্ত্রণালয় মানা করবে না। মানবিক কারণে বা মানুষের চাকরি ব্যাপারে সমস্যা হলে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/জেআর/আরএস

রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি রেলওয়ে