Thursday 30 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্দর থেকে রেলপথে পণ্য পরিবহণ বন্ধ, কনটেইনার জটের শঙ্কা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৪ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:১৮

রানিং স্টাফদের ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে পণ্যবোঝাই কনটেইনার ও তেল পরিবহণ বন্ধ। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রেলের রানিং স্টাফদের ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথে পণ্যবোঝাই কনটেইনার ও তেল পরিবহণ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টির আশঙ্কা আছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কমকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে তিনটি কনটেইনারবাহী ট্রেন সূচি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। আর একটি তেলবাহী ট্রেন যাবার কথা ছিল রংপুরে। ধর্মঘটের কারণে সেগুলো সিজিপিওয়াই স্টেশনে আটকা পড়েছে। রানিং স্টাফদের কর্মসূচির কোনো সুরাহা না হওয়ায় নতুনভাবে সূচিও নির্ধারণ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১২টা থেকে মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়াসহ কয়েক দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এর ফলে সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

একইভাবে সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রামের সিজিপিওয়াই (চিটাগং গুডস পোর্ট ইয়ার্ড) স্টেশন থেকে চারটি কনটেইনার-তেলবাহী ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো যেতে পারেনি।

ধর্মঘটের কারণে পণ্যবোঝাই ট্রেন সিজিপিওয়াই স্টেশনে আটকা পড়েছে। ছবি: সারাবাংলা

সিজিপিওয়াই স্টেশন মাস্টার আবদুল মালেক বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শিডিউল ওলটপালট হয়ে গেছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এটা ঠিক হবে না।’

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। একদিন-দুইদিন ধর্মঘট হলে হয়তো তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এটা কন্টিনিউ করলে বন্দরে জট তৈরি হবে।’

বিজ্ঞাপন

বন্দর সচিবের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি ও রফতানি হওয়া কনটেইনারের তিন শতাংশ রেলপথে পরিহণ হয়। এ হিসেবে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৪০টি কনটেইনার রেলপথে পরিবহণ করা হয়।

এ ছাড়া জ্বালানি তেল নিয়ে ট্রেন যায় চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কলকারখানায়। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় জ্বালানি তেল পরিবহণও ব্যাহত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ধর্মঘট আহ্বানকারী রানিং স্টাফরা হলেন- গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। ১৬০ বছর ধরে মাইলেজ অর্থাৎ এক লিটার জ্বালানি তেলে ট্রেন যতদূর যায়, এর ভিত্তিতে বেতনের সঙ্গে ভাতা পেয়ে আসছিলেন তারা। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন। এছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হত। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

আগের সুবিধা ফেরত পেতে রানিং স্টাফরা সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/এমপি

চট্টগ্রাম বন্দর পণ্যবোঝাই ট্রেন রেল ধর্মঘট রেলপথ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর