রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কুরআন পোড়ানো, স্বরস্বতী পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা এবং সবশেষ ছাত্রফ্রন্টের জুলাই স্মৃতি প্রদর্শনীর বুথ ভেঙে দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পাসের কয়েকটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই দিনের ভিতরে দোষীদের শনাক্ত করার সময় বেধে দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘গত ২৭ জানুয়ারি বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্র সমাবেশ শেষে অভ্যুত্থানের স্মৃতি প্রদর্শনীর মঞ্চে ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়। এক ঘণ্টা পরে সংগঠকেরা এসে দেখেন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আজ ব্যানারসহ সম্পূর্ণ বুথ ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয়েছে। সিরাজ শিকদারের গ্রাফিতির ছবি ছিঁড়ে তিন টুকরো করে দূরবর্তী স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘গত ১২ তারিখ কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে প্রশাসন গড়িমসি করছে। এ ছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি সিরাজী ভবনে সরস্বতী পূজার ব্যানার ছেঁড়ার পরও প্রশাসন নিশ্চুপ। এইসব ঘটনা ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশের প্রতি আঘাত। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন একটি চরম অগণতান্ত্রিক পরিবেশে নিপীড়িত হবার পর ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে সবাই একটি আপাত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণের সুযোগ পেয়েছি। যারা এই অভ্যুত্থানের পরেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে ক্রমান্বয়ে আবার সেই সন্ত্রাস, দখলদারত্বের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চায়। এই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
সংবাদ সম্মেলনে রাবি ছাত্র গণমঞ্চ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) রাবি সংসদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি সংসদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, রাষ্ট্রচিন্তা ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।