ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
কর্মবিরতির ৩৩ ঘণ্টায় লোকসান সোয়া কোটি টাকা

ঢাকা: এমনিতেই বারো মাসই লোকসানে চলে ট্রেন। এরমধ্যে রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে রেল চলাচল বন্ধ থাকায় গত ৩৩ ঘন্টায় লোকসান গুনতে হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কমলাপুরে এক সংবাদ ব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা রেল স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও কোচ ব্যালান্সের কারণে জয়ন্তিকা ও বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনের আজকের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। আমাদের স্টেশন থেকে সাধারণত প্রতিদিন ১ কোটি ১৫ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আয় হয়।

তিনি আরও জানান, গতকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। যে দুটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে সেগুলোর টাকা যাত্রীদের রিফান্ড করা হবে। যারা অনলাইনে কেটেছেন তাদের অনলাইনে ফেরত দেওয়া হবে, যারা সরাসরি কাউন্টার থেকে কিনেছেন তাদের সরাসরি দেওয়া হবে বলে জানান।

এদিকে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। কারণ, বাংলাদেশ রেলওয়ে মধ্যরাতে জানিয়েছে, আন্দোলনের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত সব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এ দিন পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন ৪ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে। অন্যান্য ট্রেনের এক থেকে দেড়ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু গভীর রাতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই যাত্রীদের এসএমএস দেওয়া হয়নি। যারা যেতে পারেননি, তাদের বিষয়ে কী করা যায় আমরা তা দেখছি।’

উল্লেখ্য, রানিং স্টাফদের মাইলেজ সমস্যা বুধবারের (২৯ জানুয়ারি) মধ্যে সমাধান করা হবে- রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এমন আশ্বাসে মধ্যরাতে কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন।

রাত আড়াইটার সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে রেলওয়ের যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

সারাবাংলা/জেআর/এমপি

কর্মবিরতি ট্রেন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক লোকসান