এনআইডি জালিয়াতি: উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ২
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৮ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৮
ঢাকা: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে টাকা নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার করার প্রমাণ পাওয়ায় গ্রেফতার হওয়া সেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ দুইজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে এনআইডি উইংয়ের একটি তদন্ত দল জগন্নাথপুরে গিয়ে সার্বিক বিষয়ে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।
বরখাস্তরা হলেন— জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ও নির্বাচন অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের।
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। করা হয়েছে গ্রেফতার।’
ডিজি বলেন, ‘ওই এলাকায় ১০৬ জনকে ভোটার করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, যারা বাংলাদেশি নাগরিক হলেও বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। স্থানীয় অনেকের বায়োমেট্রিক বা আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এসব কাজে একজন ভোটারের কাছ থেকে লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম শনাক্ত করা হয়েছে।’ এ সময় যে কোনো অনিয়মের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।
এনআইডি ডিজি বলেন, ‘গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১৭ লাখ ৭ হাজার ৫৭০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়— আমাদের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন।’ এ কাজের সবার সহযোগিতা চান তিনি।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিক কোনো কারণে বাদ পড়লে নির্ভুল তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে এনআইডি উইং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসনানুজ্জামান, তকদিন আহমেদ, ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম ও সহকারী পরিচালক আশাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনএল/এসআর
এনআইডি এনআইডি জালিয়াতি জগন্নাথপুর নির্বাচন কর্মকর্তা বরখাস্ত সুনামগঞ্জ