বড় বড় কোম্পানির শুধু ঋণ আর ঋণ: ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৮
ঢাকা: শিক্ষা ও পরিকল্পন উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিবিএসের জরিপে দেখা গেল গ্রামে উদ্যোক্তা সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ৮৬ শতাংশই বলেছেন তাদের মূলধন নেই। তারা ঋণ পাচ্ছেন না, সামান্য মূলধন যোগ দিতে পারছে না। অথচ শহরে হাজার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে চলে যাচ্ছে। কোন কোন ব্যাংকে কিছুই নেই। আছে খালি প্রতিষ্ঠান। অনেক সময় হিসাবও করা যাচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা রাতারাতি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। হঠাৎ বড় হওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের আছে শুধু লোন আর লোন। আমি বেক্সিমকোর কথা বলছি। সরকার শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো কিছুই নেই। কিন্তু নিদারুণ কষ্টের কথা হলো গ্রামের এত প্রতিষ্ঠান সামান্য মূলধনের যোগান পাচ্ছে না। শহরে রাতারাতি গড়ে উঠছে প্রতিষ্ঠান।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এমপিও শিক্ষকদের জমানো ৬ হাজার কোটি টাকা যোগসাজস করে এমন ব্যাংকে রাখা হয়েছে, যে ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই টাকা তো কম নয়। এটা পাওয়া গেলে শিক্ষকদের পেনশনসহ সব দায় দেনা মেটানো যেতো। এখন শিক্ষকদের সঞ্চয়ের টাকাই নাই। তবে সবচেয়ে ভালো কথা হলো রেমিট্যান্স বাড়ছে। রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি আশা জাগাচ্ছে। রেমিট্যান্সের অর্থ গ্রামে যাচ্ছে। ফলে সেখানে সেবা খাত চাঙ্গা হচ্ছে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আগে পরিসংখ্যান তৈরিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল। কিন্তু এখন সে পথ বন্ধ করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান আইন সংশোধনের মাধ্যমে এটি করা হবে। এর আগেই আমি প্রাকটিস শুরু করেছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন তথ্য প্রকাশে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আমার সই লাগে। আমি চোখ বন্ধ করেই সই করে দিই। পরের দিন পত্র-পত্রিকায় দেখি- কী তথ্য দিয়েছে বিবিএস। এছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তির এই সময়ে অন্তত ভুয়া তথ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। কোন লুকোচুরি সম্ভব নয়।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস