ভোলায় বাস মালিক ও সিএনজি চালকদের সমঝোতা, ধর্মঘট প্রত্যাহার
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৬
ভোলা: অবশেষে ভোলা জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ভোলা বাস মালিক সমিতি ও সিএনজি চালকদের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চলা সংঘর্ষের অবসান হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান। বৈঠকে বাস ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতাদের বক্তব্যে উভয় পক্ষের দাবি উঠে আসে। তারাও এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ সময় ভোলা পৌরসভার পক্ষ থেকে সিএনজি চালকদের স্ট্যান্ডের জন্য বাস স্ট্যান্ডের পাশে হেলিপ্যাডকে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়। সিএনজি চালকরাও সেটি মেনে নেয়। এ সময় উভয়পক্ষ আগের মতো মিলেমিশে যানবাহন পরিচালনা করবেন বলেও জানায়। ভবিষ্যতে আর কখনো এরকম ঘটনা হবে না বলেও অঙ্গীকার করেন তারা। একইসঙ্গে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চালানোর ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলা বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাস ও সিএনজি পুড়েছে। এটি নিয়ে আজকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। সার্বিকভাবে আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি চাইনি। তাই সন্ধ্যার পর উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছি। সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। সিএনজির আলাদা একটি জায়গা দেওয়া হয়েছে এবং বাস মালিকরা পৌরসভার ইজারাকৃত বাস স্ট্যান্ডেই থাকবে। তারা উভয়পক্ষ ভবিষ্যতে আর কোনো ঝামেলায় জড়াবে না, শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকবে এই শর্তে আমরা সমাধানে পৌঁছাতে পেরেছি। এ ছাড়াও, তারা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক, জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুর আলম, জাতীয় পার্টি (বিজেপি) জেলার সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, ইসলামী আন্দোলন জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা শুরা সদস্য মো. জামাল উদ্দিন, বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, অটোরিকশা শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি মো. মাকসুদুর রহমান। সেইসঙ্গে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডের দখল নিয়ে বাস মালিক সমিতি ও সিএনজি চালকদের মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুইটি বাস ও চারটি সিএনজিতে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জনের অধিক আহত হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম