ছাত্র শিবিরকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৭ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:৩৪
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করায় জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘‘ছাত্র শিবিরের প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানীর ‘অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল’— এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে, মহান স্বাধানতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ মনে মেনে নিতে পারে নাই। তাদের এই বক্তব্য গুজরাটের ‘কসাই’ নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।’’
তারা বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পঁচানব্বই ভাগই ছিল মুসলিম। তৎকালীন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি, মা-বোনের ইজ্জত-সম্মান রক্ষা এবং নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝে-শুনেই আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টা নায্য ও যৌক্তিক ছিল। বিধায় দেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমরা ৭১ এর পরাজিত শক্তি জামাত-শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রাজনীতি করার এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতি দেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা হলেন— মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, আব্দুল সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মিজানুর রহমান খান বার প্রতীক, এম এ শহিদ বাবলু, মোকসেদ আলী মঙ্গোলিয়া, মুজিবুর রহমান ছানা, জহিরুল আলম তরফদার, প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, মোস্তফা শাহাবুদ্দীন রেজা, মো. ওবায়দুল হক ভূঁইয়া, মোবারক হোসেন, মো. কামাল উদ্দিন, আব্দুল হাকিম খান, মো. শরীফ হোসেন, আনোয়ারুল আলম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুল বাসেদ, প্রিন্সিপাল আব্দুল নোমায়েন, প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম, মুজিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির, আব্দুল কাদের, মো. গাউস মিয়া, কমান্ডার আফজাল হোসেন, নূর ইসলাম, নুরুল বাশার, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, কমান্ডার ইউসুফ মৃধা, রফিকুল ইসলাম, এমএ বারী, এসএম কামাল, মজিবুর রহমান বাদল এবং জয়নাল আবেদীন।
সারাবাংলা/এজেড/ এইচআই