Monday 24 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাছ-মাংস-সবজির দামে হেরফের নেই, পেঁয়াজ-গুঁড়ো দুধের দর বাড়তি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে পেঁয়াজ আর গুঁড়ো দুধের দাম। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কারখানাগুলো সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। তবে তেলের দাম বাড়েনি। চাল, আদা-রসুনের বাড়তি দর অব্যাহত রয়েছে।

এ ছাড়া মাঘের বাজারে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর হয়ে আছে। সরবরাহ বেশি থাকায় যথারীতি কম দামে সবজি কিনে স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজার ও আসকার দিঘীর পাড় কাঁচাবাজার এবং অলিগলির ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দর নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত দু’দিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা করে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আদা ও রসুনের দাম গত সপ্তাহে প্রতিকেজিতে অন্তত ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছিল, যা এখনও অব্যাহত আছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দুই সপ্তাহ পেঁয়াজের দর নিম্নমুখী ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই বেড়েছে। ছবি: সারাবাংলা

বাজারে দুই সপ্তাহ পেঁয়াজের দর নিম্নমুখী ছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই বেড়েছে। ছবি: সারাবাংলা

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধের দাম কেজিতে অন্তত ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। আসকার দিঘীর পাড়ে মুদি দোকানে দেখা গেছে, মার্কস গুঁড়ো দুধ আধাকেজি প্যাকেট ৪১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৩৯৫ টাকা এবং ডানো ৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০০ টাকা। মোমিন রোডে কয়েকটি মুদি দোকানে যাচাই করেও একই দাম দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

আসকার দিঘীর পাড়ের রাজীব স্টোরের মালিক রিপু নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। এরপর ভারতীয় পেঁয়াজ আবার পাইকারিতে দাম বেড়েছে। গুঁড়ো দুধের দাম কোম্পানিগুলো হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটার কারণ কী আমরা জানি না।’

রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি দোকান বিসমিল্লাহ স্টোরের কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, এক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে কারখানাগুলো। তবে তেলের দাম এখনো গত সপ্তাহের মতোই আছে।

বাজারে বৃহস্পতিবার প্রতিলিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়, পাম তেল সুপার ১৫৯ থেকে ১৬২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা ও বোতলজাত ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

মাঘের বাজারে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর হয়ে আছে বাজার। ছবি: সারাবাংলা

মাঘের বাজারে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর হয়ে আছে বাজার। ছবি: সারাবাংলা

চাল এখনও চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে প্রতিকেজি পাইজাম আতপ ৭৫ টাকা, কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ৭০ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, জিরাশাইল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সবজির বাজার গত দেড় মাস ধরে ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়ে আসছে। বাজারে মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন, মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

মুদি দোকানের বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছবি: সারাবাংলা

নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছবি: সারাবাংলা

মাছের দাম গত দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল আছে। বাজারে লইট্যা ২০০ থেকে ২১০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ১৩০-১৪০ টাকা, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ৭০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ও বড় ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছের মধ্যে চাষের শিং আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছ আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়, বড় চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতিডজন ২৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের দামেও হেরফের হয়নি। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গরু ও মহিষ কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

কাঁচা বাজার ব্রয়লার মুরগির স্বস্তি

বিজ্ঞাপন

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: সিপিবি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯

বাংলা নাটক-সিনেমা: প্রয়োজন সংস্কার
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৩

আরো

সম্পর্কিত খবর