Friday 31 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গাইবান্ধায় ট্রেনের ধাক্কায় ১৭ দিন ধরে অচেতন কিশোরের পরিচয় মেলেনি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪১ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৮

হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৩৫ নম্বর শয্যায় আছেন এ কিশোর

গাইবান্ধা: গত ১৭ দিন ধরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শয্যায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে ট্রেনের ধাক্কায় আহত এক কিশোর। এখনো তার পরিচয় মেলেনি।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসা দেন। বর্তমানে ওই কিশোর গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৩৫ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গাইবান্ধা রেলওয়ে বিভাগ, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ও গাইবান্ধা নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক কিশোর গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই কিশোর মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। সেইসঙ্গে তার উন্নত চিকিৎসাও প্রয়োজন বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানতে পেরে অজ্ঞাত এই কিশোরের পাশে দাঁড়ায় গাইবান্ধা নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থা।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা নারী ও শিশু কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কায়সার প্লাবন বলেন, ‘অজ্ঞাত এই কিশোরের পরিচয় বের করতে ১৭ জানুয়ারি রংপুর সিআইডির একটি বিশেষ দল গাইবান্ধায় আসেন। দলের সদস্যরা ওই কিশোরের হাতের আঙ্গুলের ছাপ মেলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ছেলেটি এখনো ভোটার না হওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে একটি পুরনো ভিডিওতে এই কিশোরকে বলতে শোনা যায়, বাড়ি লালমনিরহাট, তার বাবা ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন আর মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। তবে কথাবার্তায় এই কিশোরকে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে মনে হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল রোডের হেলথ্প্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোস্তাক আহমেদ মাছুম বলেন, ‘সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অজ্ঞাত এই কিশোরের বিষয়ে জানতে পাই। মানবিক দিক বিবেচনা করে সিটি স্ক্যান মেশিনটি সচল করে তার পরীক্ষা-নীরিক্ষা বিনামূল্যে করে দেওয়া হয়। এমনকি পরামর্শ ফিও নেননি নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।’

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, ‘অজ্ঞাত ওই কিশোরের মাথায় রক্তক্ষরণ হয়ে রক্ত জমাট বেঁধেছে। মাথায় হাড় ভেঙ্গেছে, কোমরের হাড় ভেঙ্গেছে। হিমোগ্লোবিন কমে গেছে। এ জন্য দুই ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। তার চিকিৎসা এখানেই সম্ভব। কেননা তাকে দেখাশোনা করা বা পরিবারের সন্ধান এখানো পাওয়া যায়নি। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন ডা. এস. এম. নূর-ই শাদীদ সিঞ্চন অজ্ঞাত কিশোরকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

সারাবাংলা/এইচআই

গাইবান্ধা ট্রেনের ধাক্কা নিখোঁজ কিশোর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর