মুন্সীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ সেই নারীর সন্তান প্রসব
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩০ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৭
মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে গুলিবিদ্ধ আহত ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী পিংকি আক্তার (১৯) হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা জেরে শুক্রবার সকালে আধারা ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তঃসত্ত্বা পিংকি আক্তার গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত নারীর মা নূরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘মেঘনা নদীতে গোলাগুলিতে দুজন নিহতের ঘটনার জেরে সকালে কিবরিয়ার পক্ষে বাড়িতে হামলা চালায় কানা জহিরের ভাই শাহিন ব্যাপারী ও তার লোকজন। এ সময় গুলিতে আমার মেয়ে আহত হয়। আজ তাকে ডেলিভারির জন্য হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল।’
গুলির অভিযোগ অস্বীকার করে জহির ইসলাম ওরফে কানা জহির বলেন, ‘কিবরিয়া মিজির কাছ থেকে বালু ব্যবসার টাকা এনে এলাকায় ভাগ-বাঁটোয়ারা করছিল পিংকির বাবা শাহজাহান সরকার। এ নিয়ে এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হলে নিজেরাই গুলির নাটক সাজিয়েছে।’
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, ‘ কোমরের নিচে গুলি ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে চেষ্টা চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় পিংকির স্বামী মো. সম্রাট বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে। পিংকির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ডেলিভারি করানো হয়। মা ও নবজাতক ভালো আছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে মেঘনা নদীতে মুন্সিগঞ্জ-চাঁদপুর সীমান্তে বালু উত্তোলন নিয়ে কিবরিয়া মিজি ও কানা জহির গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের ভাষানচর এলাকার কামাল ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির (৩৩) ও চাঁদপুরের মতলব থানার তুহিন (২৯)।
সারাবাংলা/এসআর