নেশাগ্রস্ত মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৫১
ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও বনশ্রী এলাকায় নেশাগ্রস্ত মায়ের হাতে চার বছরের এক শিশু খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া, ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে রমনা সিদ্ধেশ্বরী হাসনা ভিলার ৩৮/৯নম্বর বাসা থেকে আয়না নুর ইসলামের (৪) মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মা তাসনিম চৌধুরী ছোঁয়াকে (২৩) আটক করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ।
খিলগাও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলজার হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির চোখে মুখে নীলা ফোলা জখম আছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুল ধরে ওয়াল বা গ্রিলের সঙ্গে আছড়িয়ে মেরে ফেলেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এসআই আরও বলেন, ‘শিশুটি বাবা এস এম আতিকুল ইসলাম ও মা তাসনিম চৌধুরী ছোঁয়ার সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর ১২ নম্বর রোডের এল ব্লকের বাসায় থাকতো। বাবা ফার্ম থেকে দুধ সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেয়। বেশ কিছুদিন ধরে শিশুটির মা ছোঁয়া নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে কয়েক মাস ধরে শিশুটির বাবা আতিকুল সিদ্ধশ্বরীতে আলাদা বাসায় থাকেন।’
ওই শিশুটির স্বজনদের বরাত দিয়ে গোলজার হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ছোঁয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার স্বামী আতিকুলকে ফোন করে বলেন, তিনি সিদ্ধশ্বরীর বাসায় যাবেন। কিন্তু আতিকুল তাকে নিষেধ করে। এর পর আতিকুল ফোনে তার স্ত্রীকে কল দিয়ে আর পায় না। শুক্রবার সকালে শিশুটির নানাসহ আত্মীয়-স্বজন বনশ্রীর বাসায় গিয়ে দেখে আয়না নুর ইসলাম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে তার মাও পড়ে আছে। তখন দ্রুত শিশুটিকে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। পরে শিশুটির মরদেহ সিদ্ধেশ্বরী বাবার কাছে নিয়ে আসে এবং থানায় খবর দেয়। এর পর বনশ্রীর বাসা থেকে শিশুটির মা ছোঁয়াকে আটক করা হয়।’
এসআই আরও বলেন, ‘শিশুটির বাবা অভিযোগ, তার স্ত্রীর নেশাগ্রস্ত থাকতো সবসময়। সেজন্য তিনি আলাদা থাকতেন। শিশু আয়না নুর ইসলাম হত্যায় তার স্ত্রীর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম