রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১ দিনব্যাপী বইমেলা শুরু
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৫ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৪
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) একুশ দিনব্যাপী একক স্টলে বইমেলা শুরু হয়েছে। মেলাটির আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের বইয়ের দোকান ‘ওঙ্কার’।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের বটতলায় মেলাটির উদ্ভোধন করেন ছাত্র উপদেষ্টা মো. আমিরুল ইসলাম কনক।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, একুশ দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এটি। এই মেলায় বিভিন্ন রকমের প্রায় দুই হাজারের মতো বই স্থান পেয়েছে। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, চিরায়ত বাংলা বই, সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার, ইসলামী বই, শিশুতোষ ও কিশোর সমগ্র, বিজ্ঞানের ম্যাগাজিন, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন, রাজনীতি, ইতিহাসসহ বিভিন্ন ধরনের বই থাকছে মেলায়।
মেলা উদ্বোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, মানুষের বুদ্ধিজাগতিক বিস্তারের জন্য বইয়ের কোন বিকল্প নেই। ওঙ্কার আজকে যে আয়োজনটি করেছে এটা প্রশংসার দাবিদার। পাঠকেরা এখানে এসে বই কিনবে। এতে অন্যরাও বইপড়ার প্রতি উৎসাহিত হবে। এই ওঙ্কার একদিন হয়তো একটি বৃহৎ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে রূপ নিতে পারে যদি পাঠকের ভালোবাসা পায়। ওঙ্কারের জন্য শুভকামনা রইল।
ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মুহিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বই মেলা হলে শিক্ষার্থীরা দেখতে আসে। বই পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার প্রবণতা বাড়ে। রঞ্জু ভাই তার ব্যবসার পাশাপাশি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যা আসলেই আমাদের জন্য আনন্দের।
মেলার আয়োজক এবং ওঙ্কারের কর্ণধার রমজান আলী রঞ্জু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে একটি বইয়ের দোকান আছে ছাত্রদের দাবি এটা আরো ছাত্ররা জানুক। এই কারণে মেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া। অনেকে বইমেলা করে তিন থেকে সাত দিনের। আমি চিন্তা করলাম একুশের মাসে একুশ দিন মেলা করব। এজন্যই একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজন করেছি।’
ব্যতিক্রমী এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মুহিব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বই মেলা হলে শিক্ষার্থীরা দেখতে আসে। বই পড়ে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার প্রবণতা বাড়ে। রঞ্জু ভাই তার ব্যবসার পাশাপাশি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যা আসলেই আমাদের জন্য আনন্দের।’
সারাবাংলা/এনজে