‘যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে হত্যা, লক্ষণ ভালো নয়’
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৬ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৭
ঢাকা: কুমিল্লায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে যৌথ বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামকে নির্যাতনের পরে হত্যার যে অভিযোগ উঠেছে, এটা ভালো লক্ষণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। কুমিল্লায় যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘‘নির্যাতনের কারণে নিহত হওয়া তৌহিদুল ইসলাম অপরাধী কিনা তা আমরা বা দেশবাসী অবহিত নয়। কিন্ত তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মীই নয়, দেশের একজন নাগরিকও। বাবার কুলখানীতে যোগ দিতে আসা তৌহিদুল ইসলামকে যৌথবাহিনী কেন গভীর রাতে আটক করল? দেশের মানুষ সরকারের কাছে তার আটকের কারণ জানতে চায়। একজন নাগরিককে যদি কোনো কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেই তাহলে তার শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন কেন থাকবে? তবে কি নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশ্যে তিন কন্যা সন্তানের জনক তৌহিদুল ইসলামকে আটক করেছিল যৌথ বাহিনী?’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের ন্যায় কোনো মায়ের সন্তান, স্ত্রীর স্বামী ও সন্তানের বাবা হারানোর ঘটনা দেখতে চাই না। যৌথবাহিনী কি এখনো মানুষ হত্যায় জড়িত? নিহতের স্ত্রী ও তিন কন্যার কাছে অন্তর্র্বতী সরকার কি জবাব দেবে? দেশের জনগণ তা জানতে চায়।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবা না দিয়ে মানুষকে যদি এভাবে নির্যাতন, হত্যা ও হয়রানি করে, তাহলে পরিবর্তন কী হল? নিহত তৌহিদুল ইসলামকে যৌথবাহিনী কর্তৃক গভীর রাতে আটকের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্তদের শুধু প্রত্যাহার করলে চলবে না দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা জনগণের অন্যতম দাবি। আশা করি সরকার এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে দোষীদের বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী যাতে ভবিষ্যতে নাগরিকদের সেবার পরিবর্তে হয়রানি না করে সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।’’
সারাবাংলা/এজেড/ইআ