সংস্কারকাজ উদ্বোধনে লাল গালিচার ব্যাখ্যা দিল ডিএনসিসি
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫১ | আপডেট: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫২
ঢাকা: খালের তীর ঘেঁষে লাল গালিচা। সেই পথে হেঁটে যাচ্ছেন অন্তবর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা। উদ্দেশ্য মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশন খাল সংস্কারকাজের উদ্বোধন করা। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা।
লাল গালিচার আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই এর ব্যাখ্যা দিলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসি বলছে, এই লাল গালিচা বিছানোর পেছনে অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল না। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেবলা হয়, উদ্বোধনের জন্য ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে একটি ভাসমান এক্সকাভেটর খালের ওপর রাখা হয়। ওই এক্সকাভেটরে যাওয়ার জন্য কাঠ-বাঁশ দিয়ে মাচা পাতা হয়। এর ওপর লালগালিচা বিছানো হয়। পরে ওই লালগালিচার ওপর দিয়ে হেঁটে এক্সকাভেটরের ওপর ওঠেন তিন উপদেষ্টা। পরে বেলা ১১টার দিকে ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেখানে ভাসমান এক্সকাভেটর রাখা হয়েছিল তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়, বরং একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছিল। এছাড়া এক্সকাভেটরে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদামাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেটসদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরো বলা হয়, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লালগালিচা নয়, বরং শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল না। যেহেতু ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সবসময় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে