দর্শনার্থী বেশি, ক্রেতা কম
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২১ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:১০
ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে দুদিন হলো। এখনো বেচা-বিক্রি বলার মত পর্যায়ে যায়নি কোনো স্টলেই। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন মেলায়। অধিকাংশ দর্শনার্থী স্টলগুলোতে সাজানো বইয়ের কাছে যাচ্ছেন। তাদের বেশিরভাগই ব্যস্ত ভিডিও বানাতে কিংবা সেলফি তুলতে।
ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের গেইট দিয়ে ঢুকতেই হাতের বামে পড়ে খাবারের স্টল। এগুলোর মাত্র ২-৩টি স্টল সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ এখনো চলমান। একটু সামনে এগোলেই বইয়ের স্টল। এর মধ্যে প্রায় ২০টি স্টলের কাজ এখনও চলমান। এমনকি লিটলম্যাগ কর্নারের কোনো স্টলই এখনো প্রস্তুত হয়নি।
এসব স্টল নির্মাণে নিয়োজিত কর্মীরা জানান, স্টল প্রস্তুত করতে তাদের ২-৭ দিন সময় লাগবে।
অধিকাংশ স্টল এখনো অগোছালো। বই সাজানো নেই, ব্যানারও লাগানো নেই ঠিকঠাক। ‘কেউ আসছে না তা না। কিন্তু যখন এসে দেখে সবকিছু এলোমেলো, তখন ধৈর্য ধরে স্টলে বই দেখতে চায় না’,— অ আ ক খ প্রকাশনীর প্রকাশক।
দাঁড়িকমা প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মনির সারাবাংলা বলেন, ‘মাত্র তো মেলা শুরু হলো। আমি এর আগেও দেখেছি মেলা জমতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ লাগে। এখন প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। কিন্তু বিক্রি এখনও বলার মতো পর্যায়ে যায়নি। আশা করছি সামনের শুক্রবার থেকে এ চিত্র ভিন্ন হবে।’
‘আমরা এ বছর বিভিন্ন সংকলন, উপন্যাস, ইতিহাস, দর্শন, পৌরানিক, দুষ্প্রাপ্য, রাজনীতি মিলিয়ে ৩০০ এর মত বই প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে বেশির ভাগ বই আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। পাঠকরা সাধারণত মেলা থেকে নতুন বই কিনতে বেশি পছন্দ করেন’,— বলেন ঐতিহ্যের স্টল ম্যানেজার কাজল।
পরিবারের ৩ সদস্যকে নিয়ে মেলায় এসেছেন সিলেটের ওয়াসিম। তিনি বলেন, আমি প্রতিবছরই মেলায় আসি। প্রত্যেকবারই কিছু না কিছু বই কিনি। তবে আমি আগে নানাভাবে লিস্ট করি। ১৫ বা ২০ তারিখের পরে সাধারণত ক্রয় করি। কারণ তখন মোটামুটি সব বই স্টলে চলে আসে।’
সারাবাংলা/এজেডএস/এসআর