ঢাকা: ‘এত বেশি চোখের ইনজুরি আমরা আমাদের চিকিৎসা জীবনেও কোনোদিন দেখিনি এবং এটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক ব্যাপার যে কিছু কিছু রোগীর বয়স নয় থেকে ১০ বছর। অনেকের চোখে বন্দুকের প্যালেটের কারণে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছেন।’
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের সহযোগী অধ্যাপক ডোনাল্ড ইউ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২৭৮ জনের মতো আহত রোগী দেখেছি। এবং বলতে হচ্ছে, আমার চিকিৎসা জীবনের সবচেয়ে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আহত রোগীদের ক্রিটিক্যাল ফেইজে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা যে চিকিৎসা দিয়েছে সেটাকে আমি মিরাকল বলব।’
ডোনাল্ড ইউ বলেন, ‘অনেকের চোখই চিকিৎসার বাইরে চলে গেছে। কিন্তু কিছু রোগী আমরা শনাক্ত করেছি যাদের সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেলে উন্নতি করা সম্ভব। আমরা সাত, আটজন রোগীকে শনাক্ত করেছি। তাদের চিকিৎসা সিঙ্গাপুরে হলে চোখের অবস্থার আরও উন্নতি করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু আহত আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে, যেটা আমার জন্য সত্যিই হৃদয়বিদারক। আমি বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করব যাতে তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে অনেকেরই এ বাস্তবতাটা মেনে নিতে হবে যে, কেউ এক চোখ, আবার কেউ দুই চোখ সম্পূর্ণভাবে হারিয়েছেন।’