নতুন ৪ গ্যাস কূপ খনন করবে সরকার
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৩ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১০
ঢাকা: গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে চারটি নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘তিতাস ও কামতা ফিল্ডে চারটি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খনন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৮৭২ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজেস্ব তহবিল থেকে ৩৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানি।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- তিতাস ফিল্ডে তিনটি ও কামতা ফিল্ডে একটি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খননের মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন বাড়িয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা ।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় সম্পাদিত ৩টি সাইসমিক জরিপের ডাটা ও প্রতিবেদনগুলো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও বিজিএফসিএলের কারিগরি কমিটি পর্যালোচনা করে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ‘তিতাস ও কামতা ফিল্ডে চারটি মূল্যায়ন-কাম-উন্নয়ন কূপ খনন’ প্রকল্প নেওয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়েছে। তিতাস ফিল্ডে তিনটি নতুন কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট ও কামতা ফিল্ডে একটি নতুন কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট মোট দৈনিক প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এর ফলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে এবং এলএনজি আমদানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে- তিতাস ২৮, ২৯ ও ৩০ এবং কামতা ২ নম্বর কূপ খনন করা হবে। তৃতীয় পক্ষীয় প্রকৌশল কাজ, রিগ ফাউন্ডেশন নির্মাণ এবং সমন্বিত খনন কাজ শেষ করার জন্য বৈদেশিক পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ প্রসেস প্লান্ট সংগ্রহ, স্থাপন, টেস্টিং ও কমিশনিং এবং গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নতুন চারটি কূপ খননের মাধ্যমে দৈনিক মোট প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ফলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটবে এবং এলএনজি আমদানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
সারাবাংলা/জেজে/ইআ