Monday 03 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশীয় সিরামিক ও স্যানিটারি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৩ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৩

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সিরামিক উৎপাদক ও রফতানি সমিতির (বিসিএমইএ) নেতারা।

ঢাকা: দেশীয় সিরামিক ও স্যানিটারি পণ্যে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।  বিসিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুল ইসলাম, সংগঠনের উপদেষ্টা মীর নাসির হোসেন ও মামুনুর রশিদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিরামিক খাতটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় আমদানি বিকল্প একটি শিল্পখাত। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় রফতানি এবং আমদানি-বিকল্প পণ্য হিসাবে দেশে ইতোমধ্যেই ৮০টিরও বেশি সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস্ ও স্যানিটারিওয়্যার শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পণ্য রফতানি করে যেমন মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে, তেমনি তৈরি পণ্যের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বছরে অন্তত ২০০ কোটি ডলারের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ও অপচয় রোধ হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিরামিক একটি গ্যাস নির্ভর প্রসেস ইন্ডাষ্ট্রি। সিরামিক শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাস কাঁচামালের উপকরণ হিসাবে গণ্য হয়। এই শিল্পে গ্যাসের বিকল্প কোন জ্বালানী ব্যবহারের সুযোগ নাই। পণ্য প্রস্তুত করতে নির্দিষ্ট মাত্রার চাপে কারখানায় ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ থাকতে হয়। নির্দিষ্ট মাত্রার চাপে গ্যাসের সরবরাহের ঘাটতি হলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় থাকা সকল পণ্য তৎক্ষণাৎ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কোম্পানির বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়। এর পরেও কারখানায় নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ না থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে গ্যাসের বিল প্রদান করতে হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে প্রয়োজনীয় গ্যাসের চাপের অভাবে সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে না পারায় বিশ্ববাজারে নামী-দামী কোম্পানি আমাদের থেকে অর্ডার বাতিল করেছে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বিগত প্রায় ১ বছর যাবৎ ২২ থেকে ২৫টি সিরামিক তৈজসপত্র, টাইলস্, স্যানিটারিওয়্যার সিরামিক ব্রিকস্ কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে উৎপাদকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ।গ্যাসের কারণে নিবন্ধিত প্রায় ৫০টিও অধিক সিরামিক কোম্পানি তাদের বিনিয়োগ স্থগিত রেখেছে এবং নতুন স্থাপিত ৫টি কারখানা শুধুমাত্র গ্যাসের অপ্রতুল সরবরাহের কারণে উৎপাদন শুরু করতে পারছে না। ফলে এই সেক্টরের বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, সেইসাথে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের বেকার জনগণ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্যাস নির্ভর এই শিল্পে ক্রমাগত গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া একটি প্রধান সমস্যা। বিগত ০৯ (২০১৫ থেকে ২০২৩) বছরে শিল্পখাতে প্রায় ৩৪৫% গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ২০২৩ সালে শিল্পখাতে প্রায় ১৫০ শতাংশ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কেজি-প্রতি সিরামিক পণ্যের গড় উৎপাদন ব্যয় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তৈরি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বিদেশী পণ্যের সাথে মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে দেশীয় তৈরি পণ্যের মূল্য ইচ্ছেমতো বৃদ্ধি করা যায় না। ফলে প্রতিযোগী বাজারে উৎপাদককে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইআ

বিসিএমইএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর