Monday 03 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিমান ভেঙে দেশি বিদেশি পৃথক ব্যবস্থাপনায় চালানোর সুপারিশ টাস্কফোর্সের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৮ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৮

ঢাকা: বাংলাদেশ বিমানকে একটি ‘অথর্ব প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এটাকে কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান এবং আধুনিকায়ন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কোন এক্সপার্ট বা ব‍্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনতে হবে।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটি’র সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা বলেন, লোকসান কমাতে বিমানকে দুইভাগ করে একভাগ বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে পরিচালনা করা হবে এবং অন‍্যভাগ বিমানের মাধ্যমে পরিচালনা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে টাস্কফোর্স কমিটির প্রতিবেদনে। সমান সুযোগ সুবিধা পাবে দুই সংস্থাই। এরপর দেখব কোন সংস্থা ভালো করেছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিমান পুনর্গঠন নিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একটি নতুন এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে। নতুন এই এয়ারলাইনটির সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’। এটির পরিচালনা করা হবে একটি স্বাধীন, বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এটি বিমানের বিদ্যমান সম্পদের একটি অংশ ব্যবহার করবে এবং উভয় সংস্থা আলাদা বাজার ও রুট টার্গেট করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবার মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে অপসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে ঢাকা শহরতলীতে একটি গ্লোবাল এক্সেলেন্স সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কাজ করবে। পাশাপাশি পরিবেশ বিজ্ঞান, পুর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি বিষয়েও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করবে। ভারতের আইআইটি-সহ আন্তর্জাতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে এটি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।

বিজ্ঞাপন

অন্যান্যের মধ্যে সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে গবেষণার জন্য ‘সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দেবে।

উল্লেখিত উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের গবেষণা, শিক্ষা এবং পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আমরা একনেকে যেসব প্রকল্প পাস করি। এখন থেকে জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিটি সভাতেই প্রকল্প রাখা হচ্ছে। এতদিন বলা হতো বাপেক্সের সক্ষমতা নেই। আমরা এটার সক্ষমতা বাড়াব। প্রয়োজনে মালয়েশিয়ার মতো অন‍্য দেশের সংস্থার সহায়তা নেব, আমদানিতে না গিয়ে বাপেক্সকে সক্ষম করব।

সারাবাংলা/জেজে/আরএস

টাস্কফোর্স কমিটির প্রতিবেদন বাংলাদেশ বিমান পুনর্গঠন

বিজ্ঞাপন

৪ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর