ইউএসএইড বন্ধের পক্ষে ট্রাম্প: ইলন
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৬ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৯
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে সম্মতি জানিয়েছেন। সম্প্রতি সংস্থাটির তহবিল স্থগিত করা এবং কর্মীদের ছুটিতে পাঠানোর পর এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে মাস্ক এ মন্তব্য করেছেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রচার করেছে।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) এক্স স্পেসের এক আলোচনায় মাস্ক বলেন, ‘ইউএসএইড নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং ট্রাম্প একমত হয়েছেন যে এটি বন্ধ করা উচিত।’ তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি কয়েকবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং ট্রাম্প প্রতিবারই বলেছেন যে সংস্থাটি বন্ধ করা দরকার।
রোববার (২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একদল উগ্র উন্মাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি, এরপর এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে ইউএসএইডের দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তারা ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর কর্মকর্তাদের ইউএসএইডের সিস্টেমে প্রবেশে বাধা দেন। এমনকি ডিওজিই কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকার হুমকি দিয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইউএসএইডের প্রায় ৬০ জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, তারা ট্রাম্পের ৯০ দিনের বৈদেশিক সাহায্য স্থগিতের নির্বাহী আদেশ এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। অন্যদিকে, আরেকজন কর্মকর্তা এই আদেশের বিপরীতে ব্যবস্থা নিতে চাওয়ায় তাকেও বরখাস্ত করা হয়।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) এক্স স্পেসের আলোচনায় মাস্ক ইউএসএইডকে রাজনৈতিক ও বামঘেঁষা বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু পচা আপেল নয়, পুরোপুরি পোকায় ভরা।’
সিএনএন-এর তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ডিওজিই কর্মকর্তারা প্রথমে ইউএসএইড সদর দফতরে প্রবেশের চেষ্টা করলেও বাধা পান। পরে তারা বলপ্রয়োগ করে প্রবেশাধিকার দাবি করেন এবং মার্কিন মার্শালদের ডাকবেন বলে হুমকি দেন। শেষ পর্যন্ত তারা সদর দফতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন।
এ ঘটনার পর মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে চিঠি দিয়ে ইউএসএইড সদর দফতরে প্রবেশের বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘ইউএসএইডের সঙ্গে কাজ করা মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপন তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।’
শনিবার (১ জানুয়ারি) ইউএসএইডের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং পররাষ্ট্র দফতরের নতুন পেজে সংস্থাটির তথ্য যুক্ত হয়। ইউএসএইডের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ নেওয়ার পরপরই এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ৯০ দিনের জন্য সকল বিদেশি সাহায্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। এতে আন্তর্জাতিক সহায়তা কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ইউএসএইড বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির কূটনৈতিক সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়বে। যদিও এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউস ইউএসএইড বন্ধের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
সারাবাংলা/এনজে