Monday 03 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তথ্য সংগ্রহে প্রশ্ন রেখেই শেষ হলো ভোটার হালনাগাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:১৭

নির্বাচন কমিশন। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলো। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিল এ কার্যক্রমের শেষ দিন। তবে রাজধানীর অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা তাদের বাড়িতে গিয়ে তথ্য নেননি।

সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, ভোটার হতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে নানা ভোগান্তির কথা। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ডিজিটাল জন্মসনদ, নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট, কাবিননামা, ভাড়াটিয়াদের ক্ষেত্রে বাড়ির মালিকের এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি পেতে বিপাকে পড়ছেন অনেকে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টির বাসিন্দা তানভিরা ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো ভোটার হতে পারব, এটা ভেবে ভীষণ ভালো লাগছিল। কিন্তু আমার বাসায় তথ্য সংগ্রহ করতে কেউ আসেননি। পরে আজ শেষদিন গিয়ে তথ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়ে এসেছি।’

এদিকে আরমানিটোলা, নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা ফারহানা আক্তার সিনহা, এবার ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন। তিনিও অভিযোগ করে বলেন, কোনো নিবন্ধনকারী তাদের বাসায় আসেননি। পরে তিনি বাসার দেয়ালে তথ্যকেন্দ্রের নোটিশ দেখে সেখানে যান। তিনি জানান, তথ্যকেন্দ্র থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ডিজিটাল জন্মসনদসহ ভোটার হতে নানা কাগজ জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রয়োজনীয় সব কাগজ সংগ্রহ করতে পারেননি।

মিরপুরের ১০-এর বাসিন্দা ইফ্ফাত জাহান, রাকিবুল ইসলাম ও ইরফান সাদিক জানান, তারা ফোনে তথ্য পেয়েছেন। তবে প্রয়োজনীয় সব কাগজ সংগ্রহ করতে পারেননি। তারা ভোটার হতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

এদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজে সংযুক্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছাতে ছুটির দিনসহ অন্য দিনগুলোতেও চেষ্টা করেছেন তারা। রাজধানীর মাটিকাটা এলাকায় তথ্যসংগ্রহকারী ফরিদা বেগম সারাবাংলাকে জানান, রাজধানীর মতো জনবহুল এলাকায় তথ্য সংগ্রহকরা বেশ ঝামেলার। বেশিরভাগ চাকুরিজীবী হওয়ায় দিনের বেলায় বাসায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। এজন্য তারা মোবাইল ফোনে আর বাসার দেয়ালে নোটিশ টানিয়ে দিয়ে এসেছেন।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে এ বিষয়ে নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩ ফেব্রুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু কেউ বাদ পড়ে থাকলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ছবি তোলার রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ রয়েছে।

তিনি জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ছবি তোলা, আঙুলে ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার কাজ, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ছবি তোলার কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে সরাসরি ফরম-২ পূরণ করে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে। এছাড়া অনলাইনে (www.nidw.gov.bd) ফরম-২ পূরণ করে ডাউনলোডকৃত কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়েও ভোটার হওয়া যাবে।’

উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি ঢাকার অদূরে এবারের হালনাগাদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

ইসির তথ্যানুযায়ী, ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নির্বাচন কমিশনের ৬৫ হাজার লোকবল। তথ্য সংগ্রহের এই অভিযানে যেসব নাগরিকের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সাল থেকে তিন বছর ধরে চলা আগের হালনাগাদ কার্যক্রমের শেষ ধাপের কার্যক্রম এখনো চলমান। সেই তালিকায় ১৮ লাখের মতো নতুন ভোটারসহ ইসির চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ। সর্বশেষ হালনাগাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।

সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম

তথ্য সংগ্রহ প্রশ্ন ভোটার হালনাগাদ

বিজ্ঞাপন

মেলার তৃতীয় দিনে নতুন বই এসেছে ৩২টি
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর