Tuesday 04 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীতে গৃহবধূসহ ৪ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১ | আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৭

মরদেহ। প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক স্থানে গৃহবধূসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের সকলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনরা জানান।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো হলো— কামরাঙ্গিরচরে শারিকা হোসেন লাবিবা (১৩), হাজারীবাগে রুপা আক্তার (২৬), চকবাজারে রাকিব (১৯) ও চকবাজার শিয়া গলির সাজ্জাদ আলি নয়ন (২৪)।

মৃত রাকিবের বাবা বাদল মিয়া জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার ছল্লারমোড় গ্রামে। বর্তমানে চকবাজার ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকে। এলাকায় একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাকিব একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করত। তবে ঠিক মত কাজে মন দিত না। আনমোনা হয়ে কাজ করত। রাতে বাসায় নিজের কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে দেখতে পেয়ে নিজেরাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে পুলিশে খবর দেই।’

চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান জানান, ভোরে খবর পেয়ে চকবাজারের বাসা থেকে রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাকিব বেশ কিছুদিন যাবত আনমোনা হয়ে চলাফেরা করত। কাজকর্মে মন বসাত না। মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ময়নতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মৃত রুপার শাশুড়ি নাজমা বেগম বলেন, ‘রুপার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দসোয়া গ্রামে। রুপার বাবার নাম মোফাজ্জল ভাসি। বর্তমানে হাজারিবাগ রায়েরবাজার সুলতানগঞ্জ এলাকায় থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে নাজমুল পর্তুগাল থাকে। রুপা একটি ছেলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এসব বিষয় নিয়ে রুপার সঙ্গে নাজমুলের ঝগড়া হয়। গতকাল রাতে বাসায় রুপা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁসি দেয়। দেখতে পেয়ে রুপাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাজারীবাগ রায়েরবাজার থেকে ওই গৃহবধূকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। স্বজনরা জানান, বাসায় নিজ কক্ষে গলায় ফাঁসি দিয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’

এ দিকে চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাউছার জানান, খবর পেয়ে সকালে চকবাজার শিয়া গলির হোসাইনি দালান রোডের ৬ষ্ঠ তলা থেকে সাজ্জাদ নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।

তিনি আরও জানান, মৃত সাজ্জাদের বাড়ি বংশাল রোডে। চকবাজার শিয়া গলির বাসায় ভাড়া দুজন মিলে থাকত। সে ফ্রিল্যান্সারের কাজ করত।

এ দিকে কামরাঙ্গিরচড় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, সকালে খবর পেয়ে কামরাঙ্গিরচড় খালপাড় অটোস্ট্যান্ডের পাশের একটি বাসা থেকে লাবিবা নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সে বিছানায় শায়িত অবস্থায় ছিল। তার স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, লাবিবা স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ত। পড়া লেখায় মনোযোগ না থাকায় লাবিবার বাবা আমজাদ হোসেন বকাবকি করে। পরে বাবার ওপর অভিমান করে ঘরে নিজের কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁসি দেয়। দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন নিচে নামিয়ে থানায় খবর দেয়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কুকুটিয়া গ্রামে।

সারাবাংলা/এসএসআর/এইচআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর